হায়দরাবাদ:  সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্রকাশ্যে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচের রমরমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তেলুগু অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি। শ্রীর অভিযোগ ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে কাজ দেওয়া হবে বলে, বহু জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত পরিচালক-প্রযোজকরা শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজেদের কথা রাখেননি। তাই সম্প্রতি তিনি নগ্ন হয়ে প্রতিবাদও জানান। এবার সেই শ্রীর পাশেই দাঁড়ালেন ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার জ্বালা গুট্টা। কর্মক্ষেত্রে কাজ দেওয়ার নাম করে সেক্সপ্লয়টেশন ঘোরতর অন্যায়। জ্বালার প্রশ্ন, কর্মক্ষেত্রে কোনও একটি বিশেষ লিঙ্গ কীসের সুবাদে অপর লিঙ্গকে কাজ দেওয়ার নাম করে নিপীড়ন চালাবে। কাজের জায়গায় সবাই সমান, প্রত্যেকের সমান অধিকার।


 

প্রথমে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানানোর পর, তাঁকে যাঁরা যৌন হেনস্থা করেছিলেল, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় হওয়া নানা চ্যাটের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির নামী প্রযোজক অভিরাম দাগ্গুবাটি, গায়ক শ্রীরাম, ভিভা হর্ষ তাঁর সঙ্গে সেক্স চ্যাট করেছেন। তবে এই সবকিছুর পরও ইন্ডাস্ট্রির কেউ তাঁকেতো কাজ দেননি, বরং বিষয়টাকে সস্তায় প্রচার ও কাজ পাওয়ার লোভ হিসেবে ট্যাগ দিয়েছেন।

জ্বালাই প্রথম শ্রী-র সমর্থনে মুখ খুলেছেন। প্রসঙ্গত, তিনি শুধু খেলওয়াড় নন, বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতেই অনেক সময় মুখ খুলেছেন। এমনকি তিনি ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতাদের প্রতি আর্জি রেখেছেন, তাঁরা যেন প্রত্যেকে শ্রীর পাশে এসে দাঁড়ান।

মূলত জ্বালা তাঁর টুইটে লিখেছেন, এক বিখ্যাত অভিনেত্রীর সাক্ষাতকারে তিনি পড়লেন, তিনি কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন কখনওই হননি। তাঁর যাত্রাপথ ভীষণই সুখের। এরপরই জ্বালার প্রশ্ন, কেউ যদি ধর্ষিতা না হন, তার মানে কি ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে না? নিজের ওপর অন্যায় না হলে, প্রতিবাদে মুখ খুলবে না কেউ, তাহলে কি আমরা কেউ এই সমাজের অংশ নই?

জ্বালা মনে করেন, এখনই সকলের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা উচিত। একজন নারীর এই দুঃসময় একজন নারীর পাশে দাঁড়ানো উচিত। কারণ, তাহলে আমরা এই বিশ্বকে শিশুদের জন্যে নিরাপদ স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।