মুম্বই: প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী এবং বনি কপূরের লাভ স্টোরি কোনও অংশে সিনেমার গল্পের থেকে কম নয়। এমনকি অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরও তাঁদের ভালোবাসার উদাহরণ দেওয়া হয়। বনি কপূর এবং শ্রীদেবী একে অপরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। ১৯৯৬ সালের ২ জুন বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের জীবনেও অনেক ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। একটা সময় গিয়েছিল যখন প্রায় ৮ মাস বনি কপূরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। কিন্তু কেন? কী এমন করেছিলেন বনি যে তাঁর সঙ্গে এতদিন কথা বলেননি শ্রীদেবী?
শ্রীদেবীর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে মোনা কপূরকে বিয়ে করেন বনি। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে - অর্জুন এবং অংশুলা। অনেকেই জানেন না, ১৯৮৪তে মুক্তি পাওয়া 'মিস্টার ইন্ডিয়া' ছবির সেটেই প্রথম দেখা হয় বনি-শ্রীদেবীর। সেই সময় থেকেই অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে যান বনি। কিন্তু তখন সেই প্রেম ছিল শুধুমাত্র বনি কপূরের দিক থেকে। 'চাঁদনি' ছবির শ্যুটিং চলছিল সুইৎজারল্যান্ডে। সেই সময়ে অভিনেত্রীর প্রতি ভালোবাসা আরও গাঢ় হয় তাঁর। এরপরই স্ত্রী মোনা কপূরকে শ্রীদেবীর প্রতি অনুভূতির কথা বলেন বনি কপূর।
একটি সাক্ষাৎকারে বনি কপূর জানিয়েছিলেন যে, একদিন বনি কপূর এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শ্রীদেবী এবং তাঁর মায়ের বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। অভিনেত্রী তাঁর মায়ের সঙ্গে সেখানে পৌঁছন। কিন্তু হঠাৎই শ্রীদেবীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বনি কপূর তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। সেই সময়ই অভিনেত্রীকে নিজের মনের কথা বলেন 'মিস্টার ইন্ডিয়া' প্রযোজক। আচমকাই বনি কপূরের পক্ষ থেকে এমন ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়ে রেগে যান শ্রীদেবী। এরপরই বনির সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। প্রায় ৮ মাস তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি শ্রীদেবী।
এরপর ১৯৯৩-এ মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের সময়ে শ্রীদেবীর মাকে ফোন করেন বনি কপূর। তাঁদের হোটেলে থাকতে বারণ করেন এবং লোকেদের দিয়ে নিজের বাড়িতে অভিনেত্রী এবং তাঁর মাকে নিয়ে আসেন তিনি। সেই বছরই মুক্তি পায় 'রূপ কি রানি চোরো কা রাজা' ছবিটি। ছবি মুক্তির সময় পর্যন্ত বনির বাড়িতেই ছিলেন শ্রীদেবী। শোনা যায় সেই সময় থেকেই তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে বাথটবে স্নানের সময়ে প্রয়াত হন শ্রীদেবী।