মুম্বই: শ্রীদেবীকে বলা হয় বলিউডের 'প্রথম মহিলা সুপারস্টার' বলা হয়। তিনশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বহু ক্ষেত্রেই বহু বড় বড় ছবির অফার নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিয়েছেন শ্রীদেবী। এই ছেড়ে দেওয়া ছবির মধ্যে স্টিভেন স্পিলবার্গের 'জুরাসিক পার্ক' থেকে প্রভাস অভিনীত 'বাহুবলী' নাম উল্লেখযোগ্য। দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশি এবং স্বামী বনি কপূরকে নিয়ে সংসার করার মাঝে আচমকাই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন অভিনেত্রী। শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার প্রসঙ্গই উঠে আসে। কিন্তু ভক্তদের মনে তা আজও প্রশ্ন চিহ্ন। কীভাবে হঠাৎ মৃত্যু হল অভিনেত্রীর?


জানা যায়, ২০১৮-র ২০ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং সামনেই বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন, তাঁর জন্য কেনাকাটাও করবেন। যদিও বিশেষ কাজের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বনি কপূর। তিনি একটি বৈঠকের জন্য লখনউ গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে চমকে দিতে ২৪ তারিখ ফিরে আসেন বনি।


একটি সাক্ষাৎকারে বনি কপূর জানিয়েছিলেন যে, দুবাইয়ে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে গল্প করেন শ্রীদেবী। এরপর তাঁরা রাতে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ডিনারে যাওয়ার আগে শ্রীদেবী স্নান করতে যান। দেরি হতে থাকায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বনি কপূর শ্রীদেবীকে ডাকেন। কিন্তু তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। এরপর  আরও কয়েকবার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢুকে শ্রীদেবীকে বাথটবে পান বনি। চিকিৎসকরা শ্রীদেবীর মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেতা সঞ্জয় কপূর জানিয়েছিলেন যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্তও হয়। এবং দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।