মুম্বই: আগে রোজগার করে তারপর দার্শনিক কথাবার্তা বলা উচিত। গরিব থাকার মধ্যে রোমান্টিসিজমের ছিটেফোঁটাও নেই। হ্যাঁ, এমনটাই মনে করেন শাহরুখ খান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধনী হচ্ছেন, ততক্ষণ দারিদ্র্য নিয়ে বড় বড় দার্শনিক বুলি আওড়ানোর অধিকার আপনার নেই। আমি একসময় গরিব ছিলাম, তাই জানি, দারিদ্র্যের মধ্যে রোমান্টিক কিছু নেই। অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা যখন বলে, তারা বড় লেখক হতে চায়, আমি তাদের পরামর্শ দিই, আগে কপিরাইটার হয়ে কিছু উপার্জন করতে। পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেতে টানা সংগ্রাম করে যাওয়ার থেকে প্রথম থেকেই সুখী হওয়ার চেষ্টা করা ভাল।


এখন তো তিনি রীতিমত ধনী। এত টাকা নিয়ে কী করেন শাহরুখ? তিনি জানিয়েছেন, পারফিউম নিয়ে তাঁর খুঁতখুঁতানি রয়েছে। দুটি সুগন্ধী মিশিয়ে মাখেন তিনি-সেগুলো আসে লন্ডন থেকে। আর ফর্মাল শ্যু তিনি পরেন না, বেশি পছন্দ স্নিকার্স।

১৪-১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। মা মারা গেছেন ২৫ বছর বয়সে। শাহরুখ জানাচ্ছেন, খুব অল্প বয়সেই তাঁকে বড় হয়ে যেতে হয়েছিল। খেলনা নিয়ে খেলার সময় পরিচিত হয়ে হয়েছিল বাস্তব জগতের সঙ্গে।

তবে এখন নাকি ছেলেমেয়ের খেলনা নিয়ে খেলতে বসেন তিনি। লোকে ভাবে, একজন আদর্শ বাবা হিসেবে তিনি এটা করছেন। কিন্তু আসল কথা হল, তিনি এমন একজন বাবা, যাঁর ছোটবেলায় কোনও খেলনা ছিল না।

শাহরুখ আরও জানিয়েছেন, ইতালীয় খাবার রান্না করতে পারেন তিনি। পাস্তা বানাতে পারেন, রিসোতোও। কিন্তু যেহেতু তাঁর পরিবারের রেস্তোঁরা ছিল, তাই রান্নার থেকে লোককে বসিয়ে খাওয়ানোই তাঁর বেশি পছন্দ। তবে এখন নতুন করে বড় রান্নাঘর বানাচ্ছেন, যাতে বেশি বেশি রান্না করতে পারেন।

পাশাপাশি গিটারও শিখতে চান তিনি। বছরকয়েক আগে স্পেন থেকে দুটো অত্যন্ত দামি গিটার কিনেছিলেন-একটা নিজের জন্য, অন্যটা ছেলে আরিয়ানের জন্য। আরিয়ান শিগগিরই গিটার শিখে যায়। এখন তাঁর ছোট ছেলে, সাড়ে তিন বছরের আবরামও গানবাজনায় উৎসাহী। নিজে গিটার শিখে উঠতে পারলে তিনজনে মিলে বয় ব্যান্ড বানাতে পারবেন।