কলকাতা: শ্যুটিং থেকে সংসার, সবকিছু সামলাতে তিনি যেন আক্ষরিক অর্থেই দশভূজা। তবু জন্মদিন এগিয়ে এলে তিনি যেন ১৬-র তরুণী। মনে হয়, এক সপ্তাহ ধরে উদযাপন হোক তাঁর জন্মদিন, উপহারে, চমকে যেন বছরের বাকি দিনগুলোর রসদ সংগ্রহ করে নিতে চান তিনি। আজ তাঁর সেই বিশেষ দিনটা। সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎসবে, উচ্ছাসে ভাসছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। আজকের দিনটা বাড়িতে, প্রিয়জন আর ছোট্ট ইউভান সঙ্গেই কাটছে নায়িকার। 


ছোটবেলা কেটেছে বর্ধমানে। প্রতিবছরই বাড়িতে বন্ধুরা, ভাই-বোনেরা আসতেন। কেকে-পায়েসে পালন হত জন্মদিন। বড় হয়ে গেলেও মায়ের হাতের পায়েসের রীতি কিন্তু বজায় রয়েছে এখনও। এবিপি লাইভকে শুভশ্রী বলছেন, 'এখনও মা প্রতি বছরের মত জন্মদিনে পায়েস বানান। ঠিক পায়েস নয়, ওটা ক্ষীর। বড় বাটির একবাটি ক্ষীর খেয়ে শেষ করতে হবে আমাকেই। কারোও সঙ্গে ভাগ করা যাবে না। আগে মিষ্টি খেতে ভালোবাসতাম। এখন অতটা মিষ্টি খেতে পারি না। তাই জন্মদিনে একবাটি ক্ষীর শেষ করতে হবে ভাবলেই ভয় লাগে।' সময় বদলেছে, পরিস্থিতিও। শুভশ্রীর জীবনে এসেছেন রাজ চক্রবর্তী। তিনিও প্রত্যেক জন্মদিনে নতুন নতুন চমক দেন নায়িকাকে। রাজের থেকে পাওয়া সবচেয়ে সেরা উপহার কী? রহস্যের হাসি হেসে নায়িকা বললেন, 'অবশ্যই আছে, কিন্তু সেগুলো ভীষণ ব্যক্তিগত। সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই না।'



শুভশ্রীর কোলে এসেছে ছোট্ট ইউভান। গতবারও একরত্তিকে কোলে নিয়েই কেক কেটেছিলেন তিনি। তবে এই বছর ইউভান আরও একটু বড়। শুভশ্রী বলছেন, 'এই বছর ও আমার জন্য হাততালি দিতে পারবে, নিজের ভাষায় আমায় শুভেচ্ছা জানাতে পারবে।' ইউভানে বড় করা নিয়ে কী কী পরিকল্পনা রাজ-শুভশ্রীর? নায়িকা বলছেন, 'আমি আর রাজ সবসময় আলোচনা করি, ইউভানকে কিছু শেখাব না। ওকে এমন একটা পরিবেশ দেব, যেখান থেকে ও অনেক কিছু শিখবে। আমরাই ওর অনুপ্রেরণা হব। রাজ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান করে। আমি চাই ইউভানও রাজের থেকে এই শিক্ষাটা পাক। আর আমার বিশ্বাস ও পাবেই।'



ইউভানকে নিয়ে শুভশ্রীর কোনও স্বপ্ন রয়েছে? একটু হেসে শুভশ্রী বললেন, 'বড় হয়ে ইউভান যা চাইবে তাই হোক। ওর মা সবসময় ওকে সমর্থন করবে।'


জন্মদিনের আগের সন্ধেয় টিম 'ডাঃ বক্সী'-র কেক কেক কেটে উদযাপন করেছেন শুভশ্রী। নিজের জন্মদিনে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন মোশন পোস্টার। ছবিতে শুভশ্রীর নাম মৃণালিনী সেন। একজন লেখিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কিন্তু মোশান পোস্টারে তাঁর হাতে দেখা গেল ছুরি, কপালে ক্ষত। সেখান থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। লেখিকার এই বেশ কেন? রহস্য করে শুভশ্রী বললেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে ডাঃ বক্সী-র গল্পে।'