নয়াদিল্লি : দীর্ঘ অপেক্ষার পর এল সুখবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন। ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিল হু-এর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ। এমনটাই খবর সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে। যে সংস্থা স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, গুণমান খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। ফেজ থ্রি ট্রায়ালের রিপোর্টের ভিত্তিতে যে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা।


দীর্ঘদিন ধরেই কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র আটকে থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন অনেক টিকা গ্রহীতাই। ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ নিয়েছেন দেশে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকায় কোভ্যাক্সিন গ্রহীতাদের বিদেশযাত্রা নিয়ে চলছিল সমস্যা। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র না মেলায় তাদের নেওয়া ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঘিরেও সন্দীহান হয়েছিলেন অনেকে। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে অবশ্য বারবার বলা হয়েছে, তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রায় ৭৭ শতাংশ। পাশাপাশি তা কার্যকর করোনার নতুন প্রকারভেদ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও। কিন্তু হু-র ছাড়পত্র না পাওয়ায় সবমহলেই চলছিল অস্বস্তি। কিন্তু শেষমেশ ছাড়পত্র মেলায় সবমহলেই স্বস্তি। হু-র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ডিরেক্টর চিকিৎসক ক্ষেত্রপাল সিংহ কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র প্রসঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।






কোভ্যাক্সিন হু-র ছাড়পত্র পাওয়ায় স্বস্তি চিকিৎসক মহলেও। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় বলেছেন, ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পেল। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, ১৮ মাস অপেক্ষার পর দারুণ একটা আনন্দের দিন। ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পেল বলে নাগরিক হিসেবে সঙ্গে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতায় সিলমোহর পড়ায় অনেকের কথা ভেবে চিকিৎসক হিসেবেও আনন্দের দিন। কারণ ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে, যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা।


দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পাওয়ায় কোটি কোটি টিকা গ্রহীতার পাশাপাশি ভারত বায়োটেক ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। প্রসঙ্গত, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা ভ্যাকসিনকে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল হু।