কলকাতা: তিনি আদ্যাশক্তি, তিনিই আবার সনাতনী সাজে মহিষাসুরমর্দিনী। প্রকাশ পেল দুর্গারুপে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ছবি। সেখানে কখনও তিনি মমতাময়ী আবার কখনও রুদ্ররুপী। মহালয়ার দিন জি বাংলার 'নানা রুপে মহামায়া' অনুষ্ঠানে মহিষাসুরমর্দিনীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
কেবল শুভশ্রী নয়, এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে দুর্গার বিভিন্ন রুপকে। শ্বেতা, শ্রীপর্ণা, সুমিতা সহ একাধিক অভিনেত্রীরা সেজে উঠবেন বিভিন্ন রুপে। প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের সবার লুকও। নিজ নিজ ভূমিকায় নজর কাড়ছেন প্রত্যেকেই। এর আগেও মহিষাসুরমর্দিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে মা হওয়ার পর এই চরিত্রে প্রথম অভিনয় করছেন তিনি। আদ্যাশক্তি রুপে ইউভান জননীর চোখে মুখে মায়া ফুটে উঠছে যেন। একইভাবে মহিষাসুরমর্দিনী রুপে দুষ্টের দমন করতে প্রস্তুত তিনি। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছিল আদ্যাশক্তি রুপে তাঁর ছবি। শ্যুটিং-এর সময় জবার মালা ও লাল সাদা শাড়ি পড়া শুভশ্রীর ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন কলাকুশলীরা।
জি বাংলার নাচের প্রতিযোগীতামূলক শো ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়ারের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন শুভশ্রী। সম্প্রতি সেট থেকেই ছোট্ট রিল ভিডিও শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশানে লিখেছেন, 'কিছুর জন্য কেবল স্বপ্ন দেখো না, তার জন্য নিজেকে তৈরি করো।' ছোট্ট রিলে শুভশ্রীর চোখে মুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। পাশ্চাত্য পোশাকে অনায়াস স্বচ্ছন্দ। আবহের বলিউডি গানের তালে শুভশ্রী যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন, বাস্তব জীবনে একজন মা হলেও, ক্যামেরার সামনে তিনি নজরকাড়া নায়িকাই।
একদিকে শ্যুটিং অন্যদিকে ছোট্ট ইউভান। দুইই সামলাচ্ছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ইউভানের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটিজেনদের নয়নের মণি সে। কিন্তু সেসময় অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন শুভশ্রীর চেহারার পরিবর্তন নিয়ে। রূপোলি পর্দার তন্বী সুন্দরী নায়িকার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময় একজন নায়িকা হিসাবে খারাপ লাগত? শুভশ্রী বলছেন, 'আমার জীবনের সবথেকে বড় চাহিদা ছিল মা হওয়া। ভগবানের আশীর্বাদে এত সুন্দর মিষ্টি সন্তান পেয়েছি। এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। নিজের মধ্যে তিলে তিলে একটা মানুষকে সৃষ্টি করেছি। তার জন্য শারীরিক পরিবর্তন হওয়াটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক। তাই কিছু মানুষের কথায় আমার খারাপ অনুভূতি হয় না। কারণ তার থেকে সৃষ্টির আনন্দ অনেক বেশি। সেটা তাঁরা বুঝবেন না। তাদের মানসিকতায় হাসি পায় কেবল.. এটুকুই।'