রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: টেকনোসিটি থানার ব্যারাক থেকে উদ্ধার হল পুলিশের এক এসআইয়ের ঝুলন্ত দেহ। মাসদেড়েক আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে টেকনোসিটি থানায় বদলি হয়ে আসেন ওই এসআই। 


এই ঘটনায় জোরাল হল রহস্য। ডিপ্রেশনের জেরেই কি আত্মহত্যা করেছেন সাব ইন্সপেক্টর? না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য রহস্য? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। সেই কারণে আত্মঘাতী কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সাব ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু মানিক মাস দেড়েক আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে টেকনো সিটি থানায় বদলি হয়ে আসেন।  


বৃহস্পতিবার তাঁর মর্নিং ডিউটি ছিল। কিন্তু, তাঁকে ফোন করা হলে ফোন বেজে যায়। সহকর্মীরা তিনতলার ব্যারাকে গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। শেষপর্যন্ত দরজা ভেঙে সাব ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


পুলিশ সূত্রে খবর, সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সাব ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু। তবে, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।  


ডিপ্রেশনের কারণেই কি পুলিশ অফিসার আত্মঘাতী হয়েছেন, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  


এর আগে, চলতি মাসের গোড়ায়, পুরুলিয়ায় একইভাবে পুলিশ ব্যারাক থেকে উদ্ধার হয় এক এসআইয়ের ঝুলন্ত দেহ। সেখানেও আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল। 


মৃত সঞ্জয় চৌধুরী কেশপুর থানায় সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ায়। সকালে ব্যারাকের মধ্যে এই পুলিশ অফিসারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন সহকর্মীরা। 


আরও পড়ুন: পুলিশ ব্যারাক থেকে উদ্ধার এসআইয়ের ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়


আরও পড়ুন: হাওড়া কোর্ট চত্ত্বর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ, তদন্তে হাওড়া থানার পুলিশ