নয়াদিল্লি: বলিউড স্টার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সুশান্তের বাবা ও দিদি মিতু সিংয়ের বয়ান রেকর্ড করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই তদন্তের গোড়াতেই তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং রাজপুত।তদন্ত যখন সরগরম, তখনই উঠে এল নতুন বিষয় স্টান-গান বা অজ্ঞান করার বন্দুকের তত্ত্ব। তা নিয়েই সরব বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়,পরিকল্পিত খুন- এই তত্ত্বে প্রথম থেকে যাঁরা সওয়াল করে আসছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্বামী।


সম্প্রতি এক টুইটার ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে, সুশান্তকে মারার জন্য অজ্ঞান করার বন্দুক ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। তাঁর সেই টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। আর এরপরই সুশান্ত মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই, ইডি-র পাশাপাশি এআইএ-তদন্ত করুক এমনই দাবি করেন স্বামী। ওই ট্যুইটের কথায় সত্যতা থাকতে পারে বলে তাঁর মনে হচ্ছে।
ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, 'আজই আমি মানুষকে অজ্ঞান করার বন্দুক স্টান-গান-এর ব্যবহার সম্পর্কে পড়লাম। সুশান্তের গায়ে যে দাগগুলি ছিল, সেগুলি এই বিশেষ বন্দুকের ব্যবহারেই হয়ে থাকে। এ ধরনের বন্দুক ব্যবহার করা হয় কাউকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য।'' টুইটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপারটা চোখে পড়ে স্বামী-র। তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখেন, '' কেমন করে এই স্টান-গান আরব সাগরের উপকূলবর্তী কোনও দেশ থেকে চোরাপথে চালান করে আনা হয়েছিল, তা খুঁজে বের করতে এনআইএ-র এই তদন্তে যোগদান করা দরকার।''
এর আগে স্বামীর তোলা সিবিআই তদন্তের দাবি মঞ্জুর হয়েছে আগেই। এবার তদন্তের সঙ্গে এনআইএ-কে যুক্ত করার বিষয়টিও গুরুত্ব পায় কিনা, সেটাই দেখার।