মুম্বই: সোনু নিগমের পর সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। আজান বিতর্কে সরব ফের বলিউডের কেউ। ট্যুইটারে ভোরে মাইকে আজান তাঁর না-পসন্দ বলে জানিয়েছেন গায়িকা-অভিনেত্রী সুচিত্রা। সামগ্রিকভাবে ধর্মস্থানে লাউডস্পিকারের ব্যবহারেই আপত্তি তুলেছেন তিনি। আজান 'জোর করে চাপানো ধর্মীয় রীতি' বলে ট্যুইট করেছেন সুচিত্রা।

ট্যুইটে লিখেছেন, ভোর ৪টে ৪৫-এ ঘরে ফিরে চরম অস্বস্তিকর, কান ফাটানো আজানের ধ্বনি শুনতে হল। এধরনের জোর করে চাপানো ধর্মীয় বাড়াবাড়ির চেয়ে জীবনে খারাপ কিছু নেই।




এজন্য তাঁকে নিন্দা, প্রশংসা দুটোই শুনতে হচ্ছে। তিনি সোনু নিগমকে অনুকরণ করছেন বলে কটাক্ষ করেন একজন। সুচিত্রা পাল্টা ২০০৯ সালে নিজের লেখা একটি ব্লগ শেয়ার করেন।

সমাজবাদী পার্টি নেতা জুহি সিংহ সমালোচনা করে বলেন, আগেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা হয়েছে। বুঝতে পারি না, এরা কী ধরনের মানুষ। আজান শুনলে মন শুদ্ধ হয় বলে জানি। তাতে ওর কী সমস্যা, জানতে ইচ্ছা হয়। হয়তো নিদ্রাই বেশি দরকারি ওর কাছে।




আরেকজন ট্যুইট করেন, হিন্দুধর্ম মতে ব্রহ্ম মূহূর্তে জেগে ওঠা ভাল কাজ। পাল্টা সুচিত্রার ট্যুইট, আমি নিজের ইচ্ছেয় ব্রহ্মমূহূর্তে জেগে উঠি, প্রার্থনা, যোগ, রেওয়াজ করি। ভগবান বা কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আমার পাবলিক লাউডস্পিকার লাগে না।



সঠিক সময়ে আজান বা যে কোনও প্রার্থনায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে জানান সুচিত্রা, তবে একইসঙ্গে ট্যুইট করেন, তা বলে ভোর পাঁচটায় গোটা তল্লাটকে জাগিয়ে দেওয়া সভ্য আচরণ নয়।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলেই ট্যুইটে ভোরে মাইকে আজানে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার কথা জানিয়ে তীব্র সমালোচিত হন সোনু নিগম। তাঁকে ধর্মীয় ইস্যুতে বিভেদ বাঁধানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। যদিও সোনু নিজের অবস্থানে অটল থেকে এক মৌলবির ফতোয়াকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান। ওই মৌলবি সোনুর মাথা কামিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। সোনু নিজেই মাথা মুড়িয়ে ওই মৌলবির কাছে পুরস্কারের টাকা চান।