কলকাতা: গানের মঞ্চে হঠাৎ হাজির একরত্তি। সে নাকি বাড়িতে হামেশাই নকল করে এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করার, সঞ্চালনা করার। আর সেই স্বপ্ন যদি হঠাৎ সত্যি হয়ে যায়? 'সুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চ কয়েক মুহূর্তের জন্য মেতে উঠল ছোট্ট অনীশের (Anish) খুনসুটিতে। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যানেলের তরফ থেকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, সঞ্চালক যীশুর (Jisshu Sengupta) হাত ধরে 'সুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চে পা রাখছে ছোট্ট অনীশ বন্ধু ঘোষ। মাইক ধরে সাবলীল ভঙ্গিতে চলল সঞ্চালনা থেকে শুরু করে গানও। পাকা প্রতিযোগীর মত মঞ্চে মাথা ঠেকিয়ে আদায় করে নিল বিচারকদের প্রশংসাও। যীশুর প্রশ্নে অবলীলায় অনীশ চিনিয়ে দিল, কে কৌশিকী চক্রবর্তী। বাড়িতে আর্ট পেপার পেতে হামেশাই নাকি মঞ্চ বানিয়ে খেলা করে সে। বিচারকেরাও তাঁর সই করা ম্যান্ডোলিন উপহার দিলেন তাকে।


'সুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চে হামেশাই বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন বিচারকেরা। সম্প্রতি বিচারকের আসনে বসেই আশা ভোঁসলের সঙ্গে কাটানো এক মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন কুমার শানু। বললেন, 'খুব বেশি হলে ৫-৬ বছর আগের কথা। আমার আর আশাজীর স্টেস পারফরম্যান্স করার কথা একটি অনুষ্ঠানে। আশাজী মঞ্চে ওঠার আগে আমি অভিবাদন জানাতে ওনার দিকে হাত বাড়ালাম। আশাজীর হাত ধরে দেখি বরফের মতো ঠাণ্ডা। আমি প্রশ্ন করলাম, আপনার হাত এত ঠাণ্ডা কেন আশাজী? উনি বললেন, 'মঞ্চে ওঠার আগে ভয় করে।' আমি অবাক হয়ে বললাম গান গাইতে মঞ্চে যেতে এখনও আপনার ভয় করে! উনি বললেন, 'যতদিন ভয় করবে, যতদিন হাত ঠাণ্ডা হবে, ততদিন আমি সঙ্গীতশিল্পী থাকব। যেদিন হাত ঠাণ্ডা হবে না, ভয় করবে না, সেদিন থেকে আমি আর শিল্পী থাকব না।'


আরও পড়ুন: Guddi: প্রবল ঠাণ্ডা, তুষারপাত, দার্জিলিংয়ে শ্যুটিং করতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল শ্যামৌপ্তি, রণজয়ের?


মঞ্চে উপস্থিত সবাই অবাক সেই গল্প শুনে, বাকরুদ্ধ যীশুও। কুমার শানু বললেন, 'সুতরাং, ভয় পাওয়া জরুরি'। হাততালিতে ফেটে পড়ল মঞ্চ।