কলকাতা: রেণুকাস্বামী হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেতা দর্শন থুগুদীপার জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সকালে জেবি পার্দিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ দর্শনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে কর্নাটক হাই কোর্ট অভিনেতার জামিন মঞ্জুর করেছিল। সেই রায় খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার সঙ্গে যে কেবলমাত্র দর্শনই যুক্ত রয়েছে এমন নয়, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে অভিনেত্রী পবিত্রা গৌড়ার বিরুদ্ধেও। আজ সুপ্রিম কোর্ট জামিন খারিজ করে দেওয়ার পরে দর্শন থুগুদীপা ও পবিত্রা গৌড়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীয়ের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে দর্শনকে।

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টের ডিসেম্বর ২০২৪-এর রায়কে বাতিল করে দিয়েছে। সেই রায়তে দর্শন এবং তাঁর স্ত্রী পবিত্রা গৌড়াসহ আরও সাত অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ বেঞ্চ কর্ণাটক সরকারের আবেদনের শুনানি করে এই নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় দর্শন ও পবিত্রাকে। পবিত্রাকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

 

আজ এই কড়া রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্তদের খালাস করা যায় না। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা বলেছেন, 'হাইকোর্টের এই ধরণের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগীয় ক্ষমতার অপব্যবহার। নিম্ন আদালত এই ধরণের ভুল করলে মানা যেতে পারে। কিন্তু হাইকোর্টের এই ধরণের রায় গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত আরও সতর্ক করেছে যে জেলে অভিযুক্তদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে জেল সুপারিনটেনডেন্ট এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০২৪-এর জুনে বেঙ্গালুরুর সুমনাহাল্লি সেতুর কাছে রেণুকাস্বামী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। ওই ব্যক্তির বয়স ছিল, মাত্র ৩৩ বছর। চিত্রদুর্গ অঞ্চলে এক ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, দর্শনের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেছিলেন রেণুকা। তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হত বলেও অভিযোগ ছিল। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ উধাও হয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে দেহ উদ্ধার করা হয়।