কলকাতা: প্রথম দেখা ছবি? প্রশ্নটা শুনে একটু ভেবে পর্দার 'ছন্দা' উত্তর দিলেন, 'বেবিজ ডে আউট' (Baby's Day Out)। এক্কেবারে ছোট্টবেলায় দেখেছিলাম।'
অর্থাৎ হলিউড ছবি। ছোটদের ছবি দেখতে গেলে এই প্রজন্মকে কি হলিউডের দ্বারস্থই হতে হত? ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বাংলা পারিবারিক ছবির খিদে মেটাতেই কি বল্লভপুরের রূপকথা? 'কিছুটা তো বটেই'.. এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে বললেন সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বললেন, 'দর্শকেরা যে ভালবেসেছেন, তার উত্তর এই সাফল্য। তবে বল্লভপুরের রূপকথা যা দিয়েছে, সেটা নির্ভেজাল আনন্দ। এই ছবিটার মধ্যে একটা বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু সাদামাটা হাসির উপাদান ছিল। সাড়ে চুয়াত্তর বা অন্য কোনও সিনেমায় দর্শকেরা যা খুঁজছিল, সেটা হয়তো বল্লভপুরের রূপকথা মানুষকে দিতে পেরেছে।'
দর্শকদের কোনও প্রতিক্রিয়া যেটা এখনও মনে আছে? সুরঙ্গনা বলছেন, 'হল ভিজিটের একটা স্মৃতি খুব মনে আছে। আমরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়েছি, হঠাৎ এক বয়স্ক মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। কিছু বলতে পারেননি। তারপর আশীর্বাদ করে বললেন, মা খুব বড় হও। ওঁকে অবিকল আমার দিদার মতো দেখতে। এই স্মৃতিটা খুব বিশেষ হয়ে থাকবে।'
একের পর এক নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সেই দৌড়ে এখনও টিঁকে বল্লভপুরের রূপকথা। ম্যাজিকটা কী? সুরঙ্গনা বলছেন, 'নির্ভেজাল আনন্দ তো বটেই, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে খুব কাজ করেছে মৌখিক প্রশংসা। অনেকে হয়তো ছবিটা দেখে গিয়ে অনেককে বলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে রিপিট অর্ডিয়েন্সটা খুব বেশি কাজ করেছে। বয়স নির্বিশেষে মানুষ ছবিটা উপভোগ করছেন।'
বল্লভপুরের রূপকথা সুরঙ্গনার মধ্যে কী বদল আনল? অভিনেত্রী বলছেন, 'অভিনেত্রী হিসেবে, সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে, সর্বোপরি শিল্পী হিসেবে কাজ করার খিদেটা আরও বাড়িয়ে দিল। আমি আবার বল্লভপুরের রূপকথা নাটকটা দেখলাম। আমার জন্য একটা খুব সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা এই ছবিটা।'