কলকাতা: অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের কাজের ধারা নাকি বেশ অন্যরকম। তিনি নাকি ছবি শ্যুটিংয়ের আগেই পছন্দ করেন ছবির গান, এমনকি আবহ সঙ্গীত পর্যন্ত তৈরি করে ফেলতে। সেই মিউজিক শুনেই শ্যুটিংয়ের কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র ৭৫ দিনের সাফল্যের পরে এবিপি লাইভকে ছবির সুরের গল্প শোনালেন শুভদীপ গুহ (Subhadeep Guha) ও দেবরাজ ভট্টাচার্য্য (Devraj Bhattacharyya)।
'বল্লভপুরের রূপকথা'-য় সুরের দায়িত্ব কতটা গুরুদায়িত্ব? শুভদীপ আর দেবরাজ একসঙ্গে বললেন, 'যথেষ্ট গুরুদায়িত্ব।' তারপরে শুভদীপ বললেন, 'একটা সিনেমার মিউজিক কার্যত ছবিকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যায়। আমরা এডিটের ফার্স্ট কাটের ওপর মিউজিক বানিয়েছি যেটা সাধারণত হয় না। ছবির মিউজিক নিয়ে রিশ্যুট করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গা। আমরা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছি। মন্দার-এর ক্ষেত্রেও আমি আগে থেকে গান, সুর তৈরি করে রেখেছিলাম। অনির্বাণ শ্যুটিংয়ের সময় গান শুনতে পেতে পছন্দ করে। এটা ওর কাজের ধরণ। বল্লভপুরের রূপকথার ক্ষেত্রে যে ২ টো গানের শ্যুটিং হবে সেগুলো তৈরি হয়ে গিয়েছিল আগেই।'
শুভদীপের কথার সূত্র ধরে দেবরাজ বললেন, 'সাজো সাজাও গানটা ছবি শ্যুটিংয়ের আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ওটা চালিয়ে চালিয়েই শ্যুটিং হয়েছে। অনির্বাণের নিজের সুরের এত জ্ঞান রয়েছে যে ও জানত ছবির কোন জায়গায় কোন সুরটা চাই। সেই মতো আমি আর বাবানদা কাজ করেছি কেবল।'
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: 'আমায় কেউ ছোট চরিত্রে ভাবতে পারছেন না, তাই এখনও কোনও ছবির অফার পেলাম না'
ছবি, কাজ প্রশংসিত হয়েছে। তবে দেবরাজের কাছে সেরা প্রশংসা এসেছে অনির্বাণের তরফেই। অভিনেতা বলছেন, 'একটা প্রচারে গিয়ে অনির্বাণ বলেছিলেন, 'আমি যদি করতাম সঞ্জীবের চরিত্রেই অভিনয় করতাম আর দেবরাজ যা করেছে তার ৪০ শতাংশও করতে পারতাম না। এটা আমার কাছে সেরা প্রাপ্তি। আমি আর সঞ্জীবের মধ্যে অনেক পার্থক্য। তারপরেও যে এমন একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি, মানুষ ভালবাসছেন, এটা বড় পাওয়া।'
নতুন চরিত্রের অফার পেয়েছেন দেবরাজ? অভিনেতা বললেন, 'টুক-টাক। কিন্তু খুব ভাল চরিত্রে এখনও কেউ ভাবেননি। এখনও পর্যন্ত কোনও চরিত্র আমার মনে ধরেনি। তবে আমি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। সবসময় খুব ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। নতুন চরিত্রে চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।