কলকাতা: প্রথমবার রুপোলি পর্দায় পা রাখা অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের (Anirban Bhattacharyya) হাত ধরেই। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, চলচ্চিত্রের খ্যাতি এই প্রথম উপভোগ করছেন তিনি। ৪৫ দিন পরেও মনোহরদা-র জন্য দর্শকদের ভালবাসা অফুরান। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র ৭৫ দিন পেরিয়ে কতটা বদলাল জীবন? এবিপি লাইভের মুখোমুখি পর্দার মনোহর ওরফে শ্যামল চক্রবর্তী (Shyamal Chakraborty)।
পর্দার মনোহরদাকে ভালবেসেছেন, প্রশংসার ভরিয়েছেন দর্শক। শ্যামল বলছেন, 'এই ভালবাসা আমার বিশাল বড় প্রাপ্তি, সঙ্গে অভাবনীয়ও। আমি এতটা প্রত্যাশা করিনি। দর্শক যখন মনোহরকে দেখে হাততালি দিয়ে উঠছে, মনে হচ্ছিল, সত্যিই কী এত ভাল কাজ করেছি?'
আরও পড়ুন: Ballavpurer Rupkotha Exclusive: 'অভিনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনির্বাণ অন্য পরিচালকদের থেকে আলাদা'
দীর্ঘদিনের থিয়েটারে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্যামল চক্রবর্তীর। মনোহরদাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি? অভিনেতা বলছেন, 'চিত্রনাট্যটাই ভীষণ পরিপূর্ণ। আমি কেবল চরিত্রটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সেসময়ে দর্শকদের ভাল লাগার কথা মাথায় কাজ করেনি। নিউ জার্সি থেকে আমার কিছু বন্ধু এসেছিলেন। তাঁরা ওখানে ছবিটা দেখেছেন। এখানে এসে তাঁরা প্রশংসা করে আমায় বললেন, 'ওই সংলাপটা কখনও ভুলব না, এই নে বিড়ি খা.. রাজবাড়ির বিড়ি।' নিউ জার্সিতে বসে ওঁরা যে এই সংলাপে স্বদেশের স্বাদ পেয়েছিলেন। তবে সংলাপ আমি বললেও, সবকিছুর পিছনেই অনির্বাণের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ও আমার ছবির পরিচালক এটা আমাদের সৌভাগ্য।'
ছবি মুক্তির ৭৫ দিন পার, মনোহরদাকে অন্য কোন চরিত্রে এবার পাবেন দর্শক? অভিনেতা বলছেন, 'নতুন কোনও সিনেমার অফার এখনও পাইনি। অনেক কথাই কানে আসছে। তবে এবার বিপদ হয়েছে অন্য। আমায় নাকি কেউ ছোট চরিত্রে ভাবতে পারছেন না। বড় চরিত্র না এলে নাকি কেউ আমার কাছে আসতে পারছেন না। এটাকে খ্যাতির বিড়ম্বনাই বলব।'