কেন ভাঙা হল এফডি? হঠাৎ কেন এত টাকার প্রয়োজন হল? কোন খাতে ব্যয় হল এফডির টাকা? এই নিয়ে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও ম্যানেজার শ্রুতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
তবে এর সদুত্তর নাকি দিতে পারেননি রিয়া বা শ্রুতি। ‘কেন এফডি ভাঙা হয়েছিল সুশান্তই জানে’, দাবি রিয়ার। অন্যদিকে সুশান্তের প্রাক্তন ও রিয়ার বর্তমান ম্যানেজার শ্রুতি জানান, ‘ব্যাঙ্কের কাজ দেখতাম না’। ইডি সূত্রে এমনটাই খবর।
অন্যদিকে উঠে আসছে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রিয়া চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন থেকে উধাও চ্যাটের একাংশ। ডিলিট করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একাংশ। কী ছিল সেই চ্যাটে? কেনই বা ডিলিট করা হল? উত্তর খুঁজছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া চক্রবর্তী জানান, ‘ক্রমেই সুশান্তর মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। আমি ওকে সামলাতে পারিনি। বলেছিলাম বাড়ির লোকের কাছে যাও। আমি সুশান্তকে একা ফেলে যাইনি, সুশান্তর বোন আসার পর আমি চলে আসি।’
সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই ও বাবার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাদের দাবি, রিয়ার কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব মেলেনি। এখন রিয়া, তাঁর ভাই ও বাবার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কাদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে মঙ্গলবারও শ্রুতি মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতেন রিয়া। ইডিকে জানিয়েছেন শ্রুতি। খবর সূত্রের।