আদালতে দাখিল করা হলফনামায় রিয়া বলেছেন, ‘দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নির্দিষ্ট ওষুধ খাচ্ছিল সুশান্ত। কিন্তু ওর বোনেরা হঠাৎই এক নতুন প্রেসক্রিপশন পাঠায়। যে চিকিৎসকের উল্লেখ ছিল, তাঁর মনে হয় কোনও মেডিকেল ডিগ্রিই নেই। সিগারেটে গাঁজা খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে চলতে থাকা ওষুধের সঙ্গে অন্য কোনও ওষুধ নেওয়া ওর ক্ষেত্রে ভয়াবহ হতে পারে বলে বারবার সতর্ক করেছিলাম সুশান্তকে।’
সুশান্ত যে কথা অগ্রাহ্য করে বোনেদের পাঠানো ওষুধ খেতে শুরু করতেই লিভ ইন পার্টনার সুশান্তের ওপর রাগ করে রিয়া বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান বলেই জানিয়েছেন। সুশান্তের দুই বোন মিঠু ও প্রিয়ঙ্কা সিংহের সঙ্গে রিয়ার অভিযোগের তির রাজধানীর রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণ কুমারের দিকেও। সুশান্তকে না দেখে, এমনকী তাঁর সঙ্গে কোনওরকম কথাবার্তা না বলেই ওষুধের প্রেসক্রিপশন তিনি বানিয়ে দেন বলেই বিচারপতি সম্ভাজি শিন্ডে ও বিচারপতি মার্কান্ড কার্নিকের বেঞ্চে জানিয়েছেন রিয়া। যে ওষুধ খেতে শুরু করার পাঁচদিনের মধ্যে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই জানিয়েছেন রিয়া। তাঁর এহেন বিস্ফোরক অভিযোগের পর সুশান্তের দুই বোন ও অভিযুক্ত চিকিৎসককে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। মুম্বই হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ নভেম্বর।