ওই চিকিৎসক জানান, সুশান্তকে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেটা নভেম্বর মাস। সেই সময় তাঁর ম্যানেজার শ্রুতি মোদিই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ডাক্তার জানিয়েছেন, ''২৮ নভেম্বর ২০১৯। সকাল ৯টায় ভিজিটে যাই আমি। সুশান্তকে সেই প্রথমবার দেখলাম। উনি আমায় বলেন, ঘুম আসছে না, খিদে পাচ্ছে না। জীবনে আর কিছুই ভাল লাগছে না।''
ওই ডাক্তারের বয়ান অনুসারে, সুশান্ত তখন অ্যানজাইটি থেকে ডিপ্রেশনের স্তরে আছেন। এমন অবস্থা ওঁর শেষ ১০ দিন ধরেই চলছিল। যদিও ওই ডাক্তারের বয়ান অনুসারে, যখন পরীক্ষা করা হয়, তখন সুশান্তের আত্মহত্যার ইচ্ছের কোনও লক্ষণ দেখা যায় নি।
ডাক্তারের মতে, সুশান্তের ডিপ্রেশন শুধু বাইরের সমস্যা ছিল না। অনেককিছুই তাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন তিনি।
বিভিন্ন ভিটামিনের খামতি থেকে কেমিক্যাল ইমব্যালেন্স, ডিপ্রেশনের কারণ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। নভেম্বরের শেষে সুশান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপরে জানুয়ারি মাস নাগাদ নাকি আবার সুশান্তের মনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বান্ধবী রিয়া নাকি তাঁকে আবার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে চান। কিন্তু সুশান্ত চণ্ডীগড়ে দিদির বাড়ি চলে যান।