সূত্র মারফৎ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ৮ জুন রিয়া যখন বাড়িতে ছিলেন তখন অভিনেতা তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলছিলেন। সকাল ১০ টা নাগাদ সুশান্ত প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলছিলেন। এই সময় প্রিয়ঙ্কা সুশান্তকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লিব্রিয়াম ক্যাপস্যুল খাওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর সকালে জলখাবারের পর নেক্সিটো ১০ এমজি প্রতিদিন খেতে বলেছিন। এই সমস্ত কথোপোকথন মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে হয়েছিল।
প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে জরুরিকালিন ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য লোনাজেপ ট্যাবলেট সঙ্গে রাখতে বলেছিলেন। যাতে আচমকা অসুস্থ বোধ করলে ওই ওষুধ ব্যবহার করা যায়, সেজন্যই ওই ওষুধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সুশান্ত প্রিয়ঙ্কাকে বলেছিলেন যে, ওষুধ কেনার জন্য তাঁর প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন। এরপর প্রিয়ঙ্কা প্রেসক্রিপশনের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন যে। এই মেসেজ দেখে প্রশ্ন উঠেছে, চিকিত্সককে না দেখিয়ে ও তাঁর শারীরিক অবস্থা না দেখেই কীভাবে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। চিকিত্সক তরুণ কুমার সুশান্ত পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। চিকিত্সকই ওই ওষুধগুলি প্রেসক্রাইব করেছিলেন। এজন্য সুশান্তর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল।
প্রিয়ঙ্কা ও সুশান্তর মেসেঞ্জারে চ্যাট-
প্রিয়ঙ্কা-প্রথমে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লিব্রিয়াম নাও। পরে জলখাবারের পর প্রত্যেকদিন একবার নেক্সিটো ১০ এমজি নিও। লোনাজিপ সঙ্গে রাখো ,যখনই অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হবে, তখন নিও।
সুশান্ত- ওকে সোনুদি।
সুশান্ত-কেউই এই সব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেবে না।
প্রিয়ঙ্কা- দেখতে দাও, আমি ম্যানেজ করতে পারি কিনা।
(এরপর প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাই সুশান্তকে মিসড ভয়েস কল করেছিলেন)
প্রিয়ঙ্কা-বাবু আমাকে ফোন করে। আমাকে প্রেসক্রিপশন পাঠাতে হবে।
প্রিয়ঙ্কা-আমার বন্ধু বেশ নামী ডাক্তার। তোমাকে মুম্বইয়ের চিকিত্সকদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেন। সব কনফিডেন্সিয়াল। এজন্য চিন্তা করো না।
প্রিয়ঙ্কা- শুধু কল করো।
প্রিয়ঙ্কা-একটা অ্যাটাচমেন্ট পাঠিয়েছি (প্রেসক্রিপশন)
প্রিয়ঙ্কা-বাবু, এটা প্রেসক্রিপশন
প্রিয়ঙ্কা- এটা দিল্লির, কিন্তু তাতে সমস্যা হওয়া উচিত নয়।কিছু হলে অনলাইন কনসাল্টেশন হতে পারে।
সুশান্ত-ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ সোনা দি।
এই ওষুধগুলি মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এখনও পর্যন্ত সুশান্তর পরিবার বলেছে যে, সুশান্তর অসুস্থতার ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানা ছিল না। কিন্তু এই চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে যে, সুশান্তর এই অসুস্থতার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা ছিল। অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সুশান্ততে ওষুধ দিতেন রিয়া। কিন্তু চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কা সুশান্তকে ওষুধ দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা ৮ জুন সুশান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। রিয়া ১২ টার পর বাড়ি ছেড়েছিলেন। সুশান্তর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার কথোপোকথন সকাল ১০ টার সময় হয়েছিল।