মহেশ ভট্ট বলেন, 'আমি কোনওদিনই স্বজনপোষণকে সমর্থন করি না। আমি অনেক নবাগতকে তাঁদের জীবনের প্রথম সুযোগ দিয়েছি। আমার সুশান্তর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দু’বার দেখা হয়েছিল। একবার ২০১৮ সালে আমার বইয়ের বিষয়ে, আরেকবার ২০২০ সালে। '
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে সান্তাক্রুজ পুলিশ থানায় রেকর্ড করা বয়ানে এমনটাই জানালেন পরিচালক মহেশ ভট্ট। সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের রোষ আছড়ে পড়ে মহেশ ভট্টর, কর্ণ জোহর সহ বলিউডের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বদের দিকে। সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মহেশ ভট্টের পুরনো ছবি সামনে আসে। মহেশের দাবি, 'আমি কোনওদিনই রিয়াকে বলিনি সুশান্তকে ছাড়তে। এ নিয়ে যে কথা রটছে, তা ভিত্তিহীন।'
সোমবার ভট্টের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়। সেদিন সকালে তিনি লেখেন, 'মানুষ চোখের পলকের জন্য এখানে আসে। মৃত্যু আসলে সব গৌরব মুহূর্তে বিলুপ্ত হয়। মরণশীলতাকে মেনে নিতে হবে।'
মঙ্গলবার সকালে মহেশ ট্যুইট করেন, 'অনেকটা পথ হেঁটে এখানে পৌঁছেছি। কোথায় পৌঁছেছি জানি না।'
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরই কঙ্গনা রানাউত, শেখর কাপূর, রসুল পুকুট্টির মতো অনেকেই বলিউডে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন! এমন অভিযোগও উঠছে, এই স্বজনপোষণের জেরেই ছ’মাসের মধ্যে সাতটি ছবি হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সুশান্তের। ভট্ট, জোহর, যশরাজ— কোনও প্রযোজনা সংস্থাই নাকি সুশান্তকে পাত্তা দিচ্ছিল না।
সূত্রের খবর, এ প্রসঙ্গে সোমবার পুলিশের কাছে মহেশ ভট্ট বলেন, 'সুশান্তকে কোনওদিনই ‘সড়ক ২’তে লিড রোলে ভাবা হয়নি। বরং সুশান্তই মহেশ ভট্টের ছবিতে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে সুশান্তকে কাস্ট করা সম্ভব হয়নি।'
'সড়ক-২' ছবির মধ্যে দিয়ে প্রায় ২১ বছর বাদে পরিচালনায় ফিরেছেন মহেশ ভট্ট! ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মেয়ে আলিয়া ও আদিত্য রায় কাপূর। আছেন বাঙালি অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তও।
সুশান্ত রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই পরিচালক-প্রযোজক আদিত্য চোপড়া, সঞ্জয় লীলা বনশালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরিচালক প্রয়োজক কর্ণ জোহরের বয়ানও রেকর্ড করা হবে বলেই সূত্রের খবর।