মুম্বই: শুক্রবার থেকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সুশান্ত-সিংহ তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।  বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ১০ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। শুক্রবার সকাল থেকে একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করে দেয় তারা। তবে শুধু তাই নয়, সুশান্ত রহস্যের জট ছাড়াতে তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু রহস্য নিয়েও তদন্ত করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিন প্রকাশ্যে আসে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তাতে উল্লেখ আছে, গলায় ফাঁসের জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। গলায় ৩৩ সেন্টিমিটার লম্বা ফাঁসের চিহ্ন মিলেছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে লেখা রয়েছে। এএনআই সূত্রের খবর, গলার ডানদিকের দাগই গাঢ়। পিছনের দাগ হালকা।


জুন মাসের ১৪ তারিখে মুম্বইয়ের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরের দিনই সুশান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এই ফাঁসের দাগের বিষয়টিও সিবিআই-এর তদন্তে গুরুত্ব পাবে।

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে আরেকটি বিষয় নিয়েও। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সুশান্তের মৃত্যুর দিন কীভাবে রিয়াকে মর্গে ঢোকার অনুমতি দেয় মুম্বই পুলিশ? প্রশ্ন সুশান্তের বাবার আইনজীবীর। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা নয়ত? আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
সিবিআইয়ের হাতে সুশান্তের ডায়েরি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র তুলে দেয় মুম্বই পুলিশ। সিবিআই সূত্রে খবর, এই মামলায় মুম্বই পুলিশ এখনও পর্যন্ত যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন বা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাতে কী উঠে এসেছে সেই সম্পর্কেও প্রাথমিক আলোচনা করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বই পুলিশ যে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করেছে, তাঁদের ধাপে ধাপে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।