মুম্বই: প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে মাদক মামলায় হারদরাবাদ থেকে আজই গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বই শাখা। ২৬ মে মুম্বই এনসিবির আধিকারিকরা হায়দরাবাদ থেকে সিদ্ধার্থকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেন।
হায়দরাবাদ আদালতের অনুমতিতে মুম্বই এনে শুক্রবার তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে এনসিবি। আদালত ধৃতকে ১ জুন পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ২০২০-র ১৪ জুন সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের সময় যে চারজন ফ্ল্যাটে ছিলেন, সিদ্ধার্থ তাঁদের একজন।
সুশান্ত মৃত্যু রহস্যের তদন্তে এর আগে বহুবার মুম্বই পুলিশ এবং সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের সঙ্গে মাদক-যোগের তদন্তে মুম্বইয়ের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে এর আগে সিদ্ধার্থকে নোটিস পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন বলে দাবি মুম্বই এনসিবির।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এনগেজমেন্ট হয় সিদ্ধার্থের৷ সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে আসে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু থেকেই সিবিআই এবং এনসিবি-র নজের সুশান্তের যেই ঘনিষ্ঠরা ছিলেন তাঁর মধ্যে সিদ্ধার্থ পিঠানি অন্যতম। সুশান্তের সঙ্গে মুম্বইয়ে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ। তিনিই প্রথম সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এবং পুলিশ এবং হাসপাতালে খবর দেন।
উল্লেখ্য, সুশান্তের মৃত্যুর পর বান্ধবী রিয়ার কল রেকর্ড থেকে দেখা গিয়েছিল ওই বছরে সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রায় শতাধিকবার কথা হয়েছে তাঁর। বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে একাধিক বার কথা বললেও এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ। তদন্তেও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত বছর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নামলে সামনে উঠে আসে মাদকযোগের সূত্র। তদন্তে ২০০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ড্রাগ মামলায় দীপিকা পাড়ুকোন, রকুলপ্রীত সিং, সারা আলি খানের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর।