মুম্বই: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে বিভিন্ন প্রশ্নে এখনও বিতর্ক চলছে। বড় ব্যানারের বেশ কিছু সিনেমা হাতছুট হওয়াকেও তাঁর অবসাদের একটা অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে তাঁর বিশেষ বন্ধু তথা চলচ্চিত্র পরিচালক সন্দীপ সিংহ বলেছেন, বলা হচ্ছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে ৬-৭ টি সিনেমা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এজন্য তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু লোকজনের জানা নেই যে, সুশান্ত তাঁর কেরিয়ারে ৩০-৪০ টি সিনেমা ছেড়ে দিয়েছিলেন। অভিনেতা হিসেবে একজনের অনেক সিনেমাতেই কাজের সুযোগ আসে, অনেক সিনেমা ছাড়তেও হয়, যা বলিউডে খুবই সাধারণ ব্যাপার।
সন্দীপ আরও বলেছেন, সুশান্তর বড় বড় তারকাদের সঙ্গে বড় সিনেমায় কাজ না মেলার কথা সঠিক নয়। তিনি বলেছেন, এমনটা হলে তাঁর আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দুটি সিনেমা. কর্ণ জোহর, রীতেশ তিওয়ারির মতো বড় পরিচালক ও সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার মতো বড় প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আসত না। আর তাই, বলিউডে তিনি উপেক্ষার শিকার হয়েছিলেন, এমন কথা বলা ঠিক হবে না।
সন্দীপ বলেছেন, স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্ব সব জায়গাতেই রয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই এমনটা রয়েছে। এর মোকাবিলা করে এর উর্দ্ধে উঠে আসাই তো সাফল্য।
সন্দীপ আরও বলেছেন, সুশান্তর মৃত্যু নিয়ে যে সমস্ত জল্পনা চলছে, সেগুলি অর্থহীন এবং সবার পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করা উচিত।
সন্দীপ মনে করেন, সুশান্তর মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের যে সব কথাবার্তা উঠে আসছে, তা আসলে ক্ষোভ থেকে নয়, আবেগ থেকেই বলা হচ্ছে। কিন্তু এমন একটা সময়ে কারুর দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়।
সম্প্রতি শেখর সুমন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন যে, সুশান্তর মৃত্যুতে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। এর সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সন্দীপ বলেছেন, যে কথা শেখর সুমন বলেছেন, তা কেন বলেছেন, তা তিনিই জানেন। শেখর সুমনের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সন্দীপ সিরিয়ালের দিন থেকেই সুশান্ত সহ তাঁর প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড অঙ্কিতা লোখান্ডেরও ঘনিষ্ঠ। সন্দীপ বলেছেন, অঙ্কিতার সঙ্গে সুশান্তর সম্পর্ক ছিল অন্য ধরনের। সুশান্তকে নিয়ে অঙ্কিতার একটা পজেসিভনেস ছিল। সুশান্তের মৃত্যুর পর যে অবস্থায় অঙ্কিতাকে দেখেছেন, তেমনটা এর আগে কোনওদিনও দেখেননি। অঙ্কিতা শুধু সুশান্তের গার্লফ্রেন্ডই ছিলেন না, ভালো বন্ধুও ছিলেন, পরিবারেরও বন্ধু ছিলেন। অঙ্কিতা ও সুশান্তর সম্পর্ক বজায় থাকলে হয়ত এ সব কিছু হত না।