কলকাতা: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের (Sushant Singh Rajput)-এর মৃত্যুর ঠিক পরেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ম্যানেজারের। দিশা সালিয়ান। পায়ে পায়ে পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ বছর। সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে এখনও মানুষ ভুলতে না পারলেও, দিশা সালিয়ানকে ভুলে গিয়েছেন অনেকেই। সেই মামলায় এবার নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন দিশার বাবা সতীশ সলিয়ান।


জানা গিয়েছে, মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় নতুন করে তদন্ত চেয়ে বোম্বে হাই কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি। ২০২০ সালে জুন মাসে মৃত্যু হয়েছিল দিশার। সতীশের আইনজীবী নীতেশ ওঝা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই পিটিশন দায়ের করা হয়ে গিয়েছে। আজকের মধ্যেই হাই কোর্টের রেজিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে মামলা দায়েরের নথি হাতে পাওয়ার কথা তাঁদের। কিন্তু কী আবেদন করা হচ্ছে হাইকোর্টে? নীতেশ জানিয়েছেন, নতুন করে হাই কোর্টের কাছে তাঁরা আর্জি জানাচ্ছেন যাতে শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং দিশার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ওরলির বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকার তাঁর মানহানির চেষ্টা করছে। আদিত্যর কথায়, 'গত পাঁচ বছর ধরেই আমার মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। মামলা যদি আদালত অবধি গড়িয়ে থাকে, তবে যা কথা বলার তা আদালতেই বলব। দেশের উন্নয়নের জন্য আমার লড়াই জারি থাকবে।' সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন দিশা। থাকতেন নিজের বাড়িতেই। ২০২০ সালে জুন মাসে তিনি নিজের বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান। কিন্তু দিশার বাবার অভিযোগ, দিশাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এখানেই উঠে আসে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নাম। সেই রাতে পার্টির আয়োজন করেছিলেন আদিত্যও। তবে সুশান্তের মৃত্যুর পরে দিশার মৃত্যু নিয়ে আরও রহস্য ঘনীভূত হয়। 


সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নীতেশ রানে দাবি করেন, সেই সময় মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন আদিত্যর বাবা। তাই খুব সহজে ক্ষমতা প্রয়োগ করেই দু’টি হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল এবং তা আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নীতেশের দাবি, 'দিশা সালিয়ানকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আজও অভিযুক্তরা বিধান ভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।' প্রসঙ্গত, ৫ বছর কেটে গেলেও, সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যুরহস্যের এখনও সমাধান হয়নি।