প্রসঙ্গত, সুশান্তের আত্মহত্যা বলিউডের অন্দর সম্পর্কে অভিযোগের প্য়ান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছে। সুশান্তর জীবন সম্পর্কে যেমন বহু তথ্য সামনে এসেছে, তেমনই হিন্দি ছবির দুনিয়ায় স্বজনপোষণ, তারকা পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব, নামী পরিবারের তকমা না থাকা কলাকুশলীদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। স্বামী তাঁর চিঠিতে দাবি করেন, বেশ কয়েকটি সূত্রে তিনি জেনেছেন, ফিল্ম দুনিয়ার প্রভাবশালী কিছু রাঘববোয়াল সুশান্তের আত্মহত্য়া মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি লেখেন, মুম্বইয়ে আমার সূত্রের মাধ্য়মে জেনেছি, বলিউডের ফিল্মি দুনিয়ায় একাধিক বড় মানুষজন, যাঁদের সঙ্গে দুবাইয়ের ডনদের যোগসাজশও আছে, নিশ্চিত করতে চাইছেন যে, পুলিশ এমনভাবে তদন্ত করুক যাতে রাজপুতের মৃত্যুর পিছনে স্বেচ্ছায় আত্মহত্যাকেই কারণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। তিনি ‘ভারত সরকারের প্রধান’কেও আবেদন করেন যাতে এই মামলায় সিবিআই তদন্তে রাজি হতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সাংসদদেরও এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার আবেদন করেন তিনি। সুশান্ত মামলার সিবিআই তদন্ত চেয়ে স্বামীর চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পিএমও-র
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 25 Jul 2020 10:39 PM (IST)
স্বামী তাঁর চিঠিতে দাবি করেন, বেশ কয়েকটি সূত্রে তিনি জেনেছেন, ফিল্ম দুনিয়ার প্রভাবশালী কিছু রাঘববোয়াল সুশান্তের আত্মহত্য়া মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার কারণ খুঁজে বের করতে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুব্রহ্মণ্য়ম স্বামী সিবিআই তদন্ত চেয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, তার প্রাপ্তি স্বীকার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও)। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্য়ে তদন্তে নেমে জানার চেষ্টা করছে কোনও পরিস্থিতির চাপে জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা চরম পদক্ষেপ করেছিলেন কিনা। এখনও পর্যন্ত তারা প্রায় ৪০জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তার মধ্যেই নানা মহল থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছে। শীর্ষ বিজেপি নেতা স্বামীও দাবির সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী তার প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন। স্বামী পিএমও-র চিঠির প্রতিলিপি শেয়ার করে করা ট্য়ুইট রিট্যুইট করেছেন। পিএমও-র চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার ২০২০-র ১৫ জুলাইয়ের চিঠিটি পেয়েছি।