মুম্বই: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তিনিও বহিরাগত। তবে মিস ইউনিভার্স খেতাব তাঁর রাস্তাটা মসৃণ করে দিয়েছিল বলেই মনে করেন সুস্মিতা সেন।


অভিনেত্রী প্রচারের আলোয় ফিরেছেন। পাঁচ বছর পর পর্দায় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন সুস্মিতা। তাঁর অভিনীত “আরিয়া” মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। এরই মাঝে স্বজনপোষণের অভিযোগে তোলপাড় বলিউড। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যে প্রসঙ্গে কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বি টাউন। তারই ফাঁকে সুস্মিতা বলেছেন, “ছোট শহর থেকে অনেক তরুণ-তরুণী আসে যারা সিনেমা নিয়েই বাঁচে। তারা অভিনেতা-অভিনেত্রী বা পরিচালক হওয়ার বা অন্য কোনও সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাদের সাফল্যের খিদেটা দারুণ। তবে অনেকে এই ব্যাপারটাকে তাদের মরিয়া মনোভাব হিসাবে দেখে থাকে। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগিতার যা বহর, তাতে এই মরিয়া মনোভাবই অনেককে চাপে ফেলে দেয়। পারফরম্যান্স নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কত ফলোয়ার আর কার কাজ নেটিজেনরা কতটা পছন্দ করছেন, সেটা দিয়েই তার বিচার হয়।”

৪৪ বছরের সুস্মিতা জানিয়েছেন, বিশ্বসুন্দরীর খেতাবের জন্যই তাঁর কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসতে শুরু করে। বহিরাগত হলেও। বলেছেন, “অভিনেত্রী হতে চাইনি। তবে একবার নেমে পড়ার পর মনে হল যে, আমিও শিখতে পারি ও নাম করতে পারি। হতে পারে আমি বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি আর পর্দায় সেটা প্রতিফলিত হয়। আমি কঠোর পরিশ্রম করি। তবে কখনও মরিয়া ছিলাম না। জানতাম, যাই করি না কেন, একশো শতাংশ দেব। কাজটাকে শ্রদ্ধা করব। জানতাম, সেটা অর্জন করব। আমার সঙ্গে এক ঘরে থেকে এমন ভাষায় কথা বলা চলবে না যেটা অনেকেই ‘চলো ঠিক আছে’ বলে কাটিয়ে যাবে। তুমি যত বড় পরিচালক বা নায়কই হও না কেন, আমাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।”