কলকাতা: বাংলার পাশাপাশি এবার হিন্দিতেও পা রাখল এসভিএফ। বাংলার ছবির পাশাপাশি এবার হিন্দি গান ও বিভিন্ন ছবির স্বাদ নিতে পারবেন হিন্দিভাষী দর্শকেরাও। নতুন প্ল্যাটফর্ম 'এসভিএফ ভারত' নিয়ে এসেছে বিনোদন জগতের প্রথম সারির এই সংস্থা। 


নতুন এই উদ্যোগ সম্পর্কে এসভিএফের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর বলছেন, 'দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাংলা বিনোদন জগতের কাছে বিভিন্ন স্বাদের ছবি, ওয়েব সিরিজ, গান ইত্যাদি পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ২০২২ সাল সঠিক সময় 'এসভিএফ ভারত'-কে বাজারে নিয়ে আসার। আঞ্চলিক ছবি ও ওয়েবসিরিজ ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে দর্শকদের মধ্যে। আশা করছি গোটা দেশের জনগনের ঘরে ঘরে বিনোদনকে পৌঁছে দিতে পারবে 'এসভিএফ ভারত'।


সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-ই প্রথম ছবি যেটি হিন্দিতে মুক্তি পাবে 'এসভিএফ ভারত' থেকে। প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই বছরেই আরও বেশ কিছু নতুন ছবি মুক্তি পাবে এই প্ল্যাটফর্মে।


এর আগে 'জোশ' অ্যাপের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এসভিএফ। বিনোদনের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া, উপার্জনেরও। শুধু অন্যান্য দেশে বা রাজ্যে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব বিষয়বস্তু নির্মাতার (content creator) সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতেই তাঁরা জনপ্রিয়, তারকাও বটে। বাংলা ভাষায় ভর করেই কমেডি, সমসাময়িক বিষয়বস্তু বা নাচ-গানের ছোট ছোট ভিডিও বানিয়েই মন জিতে নিয়েছেন নেটিজেনদের। এবার এই সমস্ত প্রতিভাদের নতুন মঞ্চ দিতেই 'যোশ'-এর সঙ্গে হাত মেলাল এসভিএফ। নতুন এই প্ল্যাটফর্মে নিজেদের কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন নির্মাতারা। এর ফলে যেমন তাঁদের ফলোয়ার্সদের সংখ্যা বাড়বে, তেমনই নতুন প্রতিভারা পাবে মঞ্চ।


আরও পড়ুন: গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে খেলা, শুনেই 'মুক্তি'-র জন্য রাজি ফুটবলপ্রেমী অর্জুন


এসভিএফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিষ্ণু মোহতা এই বিষয়ে বলেন, 'পূর্বভারত নেটদুনিয়ায় নতুন কনটেন্ট বানাতে নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করবে 'যোশ' ও এসিভিফের এই মেলবন্ধন। আঞ্চলিক ভাষায় এই মঞ্চ আসার ফলে আরও নতুন প্রতিভারা উঠে আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে 'যোশ' অ্যাপের সহজ ভিডিও বানানোর পদ্ধতিও নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।











অন্যদিকে সুন্দর ভেঙ্কটরমন বলেন, 'পূর্বভাবতের প্রথম শ্রেণীর প্রযোজক সংস্থা এসভিএফ। তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে আসতে পেরে আমরা খুশি। এসভিএফের মিউজিক লাইব্রেরী নির্মাতাদের নতুন ভিডিও বানাতে উদ্বুদ্ধ করবে। 'জোশ' সবসময় আঞ্চলিক নির্মাতাদের জন্য সুযোগ করে দিতে চেয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই এসভিএফের সঙ্গে এই মেলবন্ধন।'