মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় খুনের তত্ত্ব খারিজ করে প্রয়াত অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন বলে এইমস তাদের রিপোর্টে জানানোর পর রিয়া চক্রবর্তীর মুক্তি চাইলেন স্বরা ভাস্কর। মাদক পাচার রোধ আইনের (এনডিপিএস অ্যাক্ট) ২৭ এ ধারায় (বেআইনি পাচার ও অপরাধীদের আশ্রয়) নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিককে গ্রেফতার করে। প্রয়াত অভিনেতার জন্য মাদক জোগাড় করে দেওয়ার অভিযোগে বাইকুল্লা জেলে প্রায় এক মাস বন্দি রয়েছেন রিয়া।


গত রবিবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও রিয়ার মুক্তি চেয়ে দাবি করেন, সুশান্ত মৃত্যু মামলা আর কোনও অভিযোগ না এনে, হয়রানি, হেনস্থা না করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিজেপির সমালোচনা করেন, রিয়ার গ্রেফতারিকেও তাদের প্রোপাগান্ডা বলে অভিযোগ করেন অধীর। তিনি ট্যুইট করেন, সুশান্তজির প্রয়াণে আমরা সকলেই ব্যথিত। কিন্তু সেজন্য এক মহিলাকে অভিযুক্ত হিসাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না। আমি আগেই বলেছি, রিয়া চক্রবর্তী একজন নির্দোষ মহিলা। আর কোনও হেনস্থা না করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। এইমস-এর ডাক্তারদের টিম সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টে সুশান্তকে হত্যা করা হয়েছে, এই দাবি খারিজ করেছে। ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়াত অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন, ফাঁসি দিয়েছেন নিজেকে। তারপরই পোস্ট করা ট্যুইটে অধীর লেখেন, এখন হয়তো বিজেপির প্রচারযন্ত্র এইমস-এর ফরেনসিক টিমকেও কাঠগড়ায় তুলবে, যাঁরা এই অভিযোগ অসার প্রমাণ করেছেন যে, রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন।
সুশান্ত মৃত্যু মামলায় এইমসের রিপোর্টের ওপর প্রতিক্রিয়া দিয়ে রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্দে বলেছেন, আমরা রিয়া চক্রবর্তীর তরফে সবসময় বলেছি কোনও অবস্থাতেই সত্যকে বদলানো যায় না। রিয়ার বিরুদ্ধে মিডিয়ার কোনও কোনও মহলের অনুমান, জল্পনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য। আমরা শুধুমাত্র দায়বদ্ধ সত্যের প্রতিই। সত্যমেব জয়তে।