তার মধ্যেই অভিনেত্রী স্বরা বললেন, আমার মতে, রিয়ার সঙ্গে যা করা হচ্ছে, সেটা একেবারে ভয়াবহ। ওই ইন্ডাস্ট্রির একজন কমবয়সি হিসাবে এটা অত্যন্ত আতঙ্কের ব্য়াপার ও প্রাসঙ্গিক যে, সোস্যাল মিডিয়ায় দু-একটি ভেরিফায়েড অ্য়াকাউন্ট থেকে তোলা অভিযোগ, চিত্কার, শোরগোলের জেরে কাউকে ধরে এমন মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্ত করা হতে পারে! বলতে চাইছি, আমরা বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কথা বলছি। ইডি এই তরুণীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এই লোকগুলোর তো উচিত নীরব মোদি, মেহুল চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু ওরা কীসের তদন্ত করছে? সিবিআইয়ের প্রকৃত সিরিয়াস মামলার তদন্ত করা উচিত। আর এই ওরা তদন্ত করছে। রিয়ার সঙ্গে যা হল, সেটা লজ্জার, বেদনার।
গত মঙ্গলবার রিয়াকে গ্রেফতার করে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্য়ুরো (এনসিবি)। সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে মাদকের ভূমিকা তদন্ত করে দেখছে তারা। এনসিবি রিয়াকে হেফাজতে নিতে চেয়ে পেশ করা আবেদনে দাবি করি, তিনি ড্রাগ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য, প্রয়াত অভিনেতার পাশাপাশি তিনিও মাদক জোগানের ব্যবসার টাকাপয়সা লেনদেনের বিষয়টি দেখতেন।
পাল্টা রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে এই গ্রেফতারির নিন্দা করে বিচারের নামে প্রহসন বলেছেন। মানেশিন্দের বক্তব্য, তিনটে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটিমাত্র মেয়ের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে শুধু তিনি একজন মাদকাসক্তকে ভালবাসতেন বলে, যিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, বেআইনি উপায়ে দেওয়া ওষুধ, মাদক সেবনের জেরে আত্মহত্যা করেছেন।