কলকাতা: ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, থ্রেট কালচারের অভিযোগ.. কিন্তু এই প্রশাসনের মাথায় বসে যিনি? কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় টলিউড। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, ফুঁসছে টলিউড। শনিবার রাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিল্পী। মেয়ের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। ওই শিল্পীর পরিবারের দাবি, একটি নোট লিখেছিলেন ওই তিনি। আর সেই নোট সামনে আসতেই, শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্টুডিওপাড়ায়। যেখানে লেখা রয়েছে, পয়লা মে থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে সিনে অ্যান্ড ভিডিও হেয়ার স্টাইলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।  তিনমাস হয়ে গেলেও আর ঠিকঠাক কাজ দেওয়া হচ্ছিল না।  ওই শিল্পী লিখেছেন, কাজ না পাওয়ার কারণে সংসার চালাতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন।  আর তাই বেছে নিয়েছিলেন চরম পথ। আর এই বিষয় নিয়ে কী বলছেন, ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্সের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)?


ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্সের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের কথায়, 'এটা সৃজনশীল দুনিয়া। এখানে হুমকি বা জোর করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটে না। যাঁরা বলছেন, দেখে নেব, বুঝে নেব, শেষ দেখে ছাড়ব.. এটাকে আপনি কী বলবেন? থ্রেট বলবেন না? আমার ভাষায় তো এটাকেই হুমকি বা থ্রেট বলে। ধরুন আপনাকে ব্যান বা সাসপেন্ড করা হল। কিন্তু সেটা করতে গেলে তো একটা নোটিশ ইস্যু করতে হয়। আপনারা তো এতগুলো তথ্য দিয়েছেন, ম্যাডামকে বলুন না একটা তথ্য দিতে যে কোনো জায়গায় ওনাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বা ব্যান করা হয়েছে..'


এই বিষয় নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলছেন, 'এটা আমরা সবাই জানি ওই পাড়ায় কে কাজ পাবে কে কাজ পাবে না এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর থেকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। তাঁকে প্রথমে সাসপেন্ড করেছে গিল্ডের নামে। তারপরে কাজ দিচ্ছে না। এই থ্রেট কালচার প্রত্যেকটা পেশায় রয়েছে। গোটা দেশে, অন্যান্য রাজ্যে আগে থেকেই ছিল। আর আমাদের রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আসার পরে, গত কয়েক বছর থেকে প্রবেশ করেছে। তোলা দিতে হবে। তোলা দিতে হবে। ব্ল্যাকমেল হবে, পুলিশ সঙ্গে থাকবে, এরা সব যুক্ত থাকবে।'


এই বিষয় নিয়ে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, 'এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কিছু আন্ডারকারেন্ট চলছে। এক সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছেন এটা তো অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কিন্তু এও শোনা যাচ্ছে যে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে, তাঁকে বাঁচানো হয়েছে কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'