তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: পুজো মানেই তাঁর কাছে ছুটি আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। পুজো মানে, নিয়ম ভেঙে খাওয়াদাওয়া আর ইচ্ছামতো সাজ। কখনও আবার রান্নাবান্নাও। ওয়েব সিরিজ থেকে শুরু করে সিনেমা... কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত অভিনেত্রী। তবে পুজোর সময় জমিয়ে মজা করারই পরিকল্পনা রয়েছে। এবিপি লাইভকে(ABP Live) নিজের পুজো পরিকল্পনার গল্প শোনালেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)। 


সদ্য নতুন ছবি 'চালচিত্র'-র কাজ শেষ করলেন, সামনেই শুরু হবে নতুন ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং। তবে পুজো মানে, স্বস্তিকার কাছে নিখাদ ছুটি। অভিনেত্রী বলছেন, 'পঞ্চমী থেকে আমার কাজ বন্ধ। সারাবছর কাজে তো ভীষণ ব্যস্ত থাকি, নিজের মতো করে সময় কাটানো হয় না। দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন আমার মূলত পরিবারের সঙ্গেই কাটে। এছাড়া আমার দুই দাদার বাড়িতে পুজো হয়। ওঁরাও ইন্ডাস্ট্রীর ফলে ওদের বাড়ি গেলে কর্মজগতের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। বাকি সময়টা পরিবারের।'


পুজোর কয়েকটা দিন কী রুটিন স্বস্তিকার? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমার পুজোর সকাল শুরু হয় লুচি আর সাদা আলুর তরকারি গিয়ে। আর আমাদের বাড়িতে পুজো মানেই ১ বেলা রান্না হয়। রাতের দিকে হয় খাবার খেতে আমি মা, বাবা আর আমি বাইরে যাই, নাহলে বাড়িতেই আনিয়ে নিই। ফুচকা আর বাইরের খাবার তো পুজোর সময় অবশ্যই পাতে থাকবে। নিয়ম ভাঙা ছাড়া পুজো হয় নাকি! আর প্রত্যেক বছরই পুজোর খাওয়া-দাওয়ার পরে আমি অসুস্থ হই। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার! কখনও কখনও আমি নিজেই রান্না করি তবে সেটা সখে। পুজোর সময় ঠাকুমা-দাদুর কথা ভীষণ মনে পড়ে। আমরা সপরিবারে ঠাকুর দেখতে যেতাম প্রত্যেক বছর।'


দুর্গাপুজোর গল্পে সাজগোজ থাকবে না তাও কি হয়? স্বস্তিকা বলছেন, 'সারাবছরই তো কেনাকাটা করা হয়। আমার আলমারি খুঁজলে কয়েকটা নতুন শাড়ি আর পশ্চিমি পোশাক অবশ্যই পেয়ে যাব। সাধারণত পুজোয় শাড়ি পরতেই ভালবাসি আমি। এমনিতে সারাবছর সাজতে না ভালবাসলেও, পুজোর সময় একটু মনের মতো করে সাজতে ইচ্ছা করে। মেক আপ আমি তেমন করি না, তবে নিজের মতো করে সাজি। সারাবছর মেক আপ করাটা আমাদের কাজের মধ্যে পড়ে, তবে পুজোর সময় নিয়ম মেনে নয়, ইচ্ছামতো সাজগোজ করব।' 


এখন পরিচিতি বেড়েছে, আর মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখা হয় না। ফেলে আসা সময়কে মিস করেন স্বস্তিকা? অভিনেত্রী বলছেন, 'সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, দড়ি ডিঙিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখা। এখন বুঝতে পারি.. ওই সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে ঠাকুর দেখাটা কী ভীষণ পছন্দ করতাম আমি। এখন পরিচিত কয়েকটা মণ্ডপে যাই, আগে থেকে বলা থাকে। এখনও আমি ভিড়ে মিশে ঠাকুর দেখতেই ভালবাসি কিন্তু মানুষের ভালবাসায় সবসময় সম্ভব হয় না। মা-বাবা সঙ্গে থাকলে বিব্রত হয়। তাই এখন ঠাকুর দেখাও নিয়ম মেনে।'


আরও পড়ুন: Biswanath on Durga Puja: ভোরবেলা পুকুরে স্নান, সকলে মিলে মাটিতে বসে খাওয়া, বিশ্বনাথের পুজোর গল্প