মুম্বই : ২০১৮ সালে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক হ্যাশ ট্যাগ মি টু-র (#MeeToo) ঘটনা সামনে আসছে, তখন প্রচণ্ড হইচই হয়েছিল বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের (Tanushree Dutta) পোস্ট নিয়ে। ফের একবার খবরের শিরোনামে অভিনেত্রী। তবে, এবারের ঘটনা আরও বেশি মারাত্মক। অন্তত, এমনটাই জানাচ্ছেন অভিনেত্রী নিজে। তনুশ্রী দত্ত বলিউডে নিজের কেরিয়ারের শিখরে পৌঁছে যান খুব তাড়াতাড়ি। এরপর অবশ্য পর্দায় তাঁকে দেখা যায়নি বেশ কয়েকবছর। কিন্তু, তারপর ফের নতুন উদ্দমে কাজ শুরু করেন তিনি। আর সেখানেই বিপত্তি। 


বিস্ফোরক তনুশ্রী দত্ত-


নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। যাঁর প্রত্যেকটা বাক্য পড়ে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে অনুরাগীদের। তনুশ্রী দত্ত লিখেছেন, 'আমি প্রচণ্ড হেনস্থার শিকার। আমার সঙ্গে মারাত্মক সব ঘটনা ঘটছে। অনুগ্রহ করে কেউ তো কিছু করুন। কেউ তো আমাকে সাহায্য করুন। ঠিক কী কী করা হচ্ছে আমার সঙ্গে? প্রথমেই বলি, গত একটা বছর ধরে বলিউডে আমায় কাজই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপর দেখলাম, আমার পরিচারিকা আমার পানীয় জলের সঙ্গে কোনও ওষুধ মিশিয়ে দিল। আমার বড় কিছু ঘটে যেতে পারতো সেই সময়। এই সব থেকে বাঁচতে আমি যখন উজ্জয়নী যেতে গেলাম, তখন আমার গাড়ি বড় রকমের দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। তাও একটা নয়। দুবার। আমি তখনই শেষ হয়ে যেতে পারতাম। কোনওরকমে বাঁচলাম। প্রায় ৪০ দিন পর সুস্থ হয়ে মুম্বইতে ফিরলাম। এরপর আমার ফ্ল্যাটের সামনেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। তবে, সবাইকে বলে রাখছি। আমি কিছুতেই আত্মহত্যা করব না। কান খুলে শুনে রাখো সবাই। না তো আমি আত্মহত্যা করব। না তো আমি মুম্বই ছেড়ে পালিয়ে যাব। আমি এখানেই থাকব। মন দিয়ে কাজ করব। আমি আমার কেরিয়ারের আরও উঁচু জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাব।' 


আরও পড়ুন - Rakhi Sawant: কেন কেঁদে-কেঁদে চোখের কাজল লেপ্টে ফেললেন রাখী সাওয়ান্ত?


তনুশ্রী দত্ত দোষারোপ করেছেন বলিউড মাফিয়াদের। আঙুল তুলেছেন, কিছু রাজনীতির মানুষদের আর কিছু সমাজবিরোধীদের দিকে। তনুশ্রী দত্ত লিখেছেন, 'হ্যাশ ট্যাগ মি টু #MeToo নিয়ে আমি যাঁদের দিকে আঙুল তুলেছি, তাঁরাই পিছন থেকে ছুরি মারছে। ভয় দেখাচ্ছে। আমাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে দিতে চাইছে। তাদের প্রত্যেকের জন্য একরাশ ঘৃণা। ওদের সকলের জন্য একরাশ ঘৃণা। তবে, এসব কোনও কিছুই আমাকে টলাতে পারবে না। আমি মন দিয়ে নিজের কাজটা করে যেতে চাই। নিজের সাধনায় ডুবে থাকতে চাই। শুধু প্রশ্ন, এ কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা? তরুণ-তরুণীরা নিজেদের সঙ্গে হওয়া অবিচার-অত্যাচারের কথা বলতেও পারবে না! উল্টে তাঁদের সঙ্গেই চলতে থাকবে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন?তাঁদেরই কিনা শেষ হয়ে যেতে হবে? না, সবাই কান খুলে শোনো, আমি কিছুতেই আত্মহত্যার পথ নেবো না।'