কলকাতা: সপ্তাহান্ত মানেই একটু ছুটির মেজাজ। ঘুরতে না গেলেও পরিবারের সঙ্গে সোফায় গা এলিয়ে বসে, ধারাবাহিকে ডুবতে ভালবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়! সপ্তাহের শেষে দেখে নেওয়া যাক, কোন ধারাবাহিকে আসছে কী কী ট্যুইস্ট। চোখ রাখা যাক টেলি মশালায় (Telly Mashala)।


কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ


স্ত্রী কমলার জন্য নতুন পরিকল্পনা করে মানিক। কমলাকে তার পুরনো বন্ধুদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁর এই পরিকল্পনা। তার রানি কমলাকে ফরাসডাঙা থেকে অপহরণ করে মানিক আর তার জায়গায়, রুদ্রপ্রতাপকে বোকা বানানোর জন্য তার জায়গায় কমলার পোশাকে সাজিয়ে রেখে যায় হরেনকে। সত্যিচা জানতে পারলে কী করবেন রুদ্রপ্রসাদ?


এক্কা-দোক্কা


বিবাহ বাসরে অসুস্থ হয়ে পড়ে রাধিকা। রাধিকা ও অনির্বাণের বিয়েতে হাজির হয় পোখরাজ। বিয়ের আসরেই তর্কাতকি শুরু হয় রাধিকা, পোখরাজ ও অনির্বাণের মধ্যে। আর সেখানেই রাধিকাকে নিজের স্ত্রী বলে মেনে নেয় পোখরাজ। জানায়, সে রাধিকাকে ভালবাসে। বিয়েতে উপস্থিত সমস্ত অতিথি অভ্যাগতের প্রশ্ন তোলে রাধিকার চরিত্র নিয়ে। সমস্ত দায় নিজের ওপর নেয় রাধিকাই। অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে সবাই জানতে পারে রাধিকার অসুস্থতার আসল কারণ। তার সুস্থতার জন্য বাড়িতে একটি পুজোর আয়োজন করে অনির্বাণ। সুস্থ হয়ে কী স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে রাধিকা?


হরগৌরী পাইস হোটেল


হরগৌরী পাইস হোটেলের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় ঐশানী। ঘোষ বাড়িতে একসঙ্গে পালিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী ও মাতৃদিবসের উৎসব। অন্যদিকে, পারিবারিক ব্যবসায় অংশগ্রহণ করে ভাস্কর। দায়িত্বের পাশাপাশি, তাপস ও মিতালির অতীত নিয়ে খোঁজ চালিয়ে যেতে থাকে ঐশানী। সত্যিটা কী খুঁজে বের করতে পারবে সে?


গোধূলি আলাপ


অরিন্দমকে যে খুন করার পরিকল্পনা করেছে রোহিনী, সে বিষয়ে অনেক ইঙ্গিত পায় নোলক ও অর্জুন। তারা তথ্য জোগাড় করলেও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। নোলক থানায় পৌঁছে পুলিশকে বলে তাঁর স্বামী হারিয়ে যাওয়ার কেস ফের শুরু করতে। আর যদি অরিন্দম মারা গিয়ে থাকে, তাহলে তার মৃতদেহও দাবি করে নোলক। অন্যদিকে, মেখলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য অর্জুনকে বার বার বলতে থাকে কাঁকন। নোলক আর অর্জুন রাতে পৌঁছয় অরিন্দম যে গ্রামে থাকে সেখানে। জানতে পারে, অরিন্দম এক বাবা ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকে। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ায়। সবাই জানে কখনও বিয়ে হয়নি অরিন্দমের। অগ্নি অরিন্দমের জন্য রবীন্দ্র জয়ন্তী পরিকল্পনা করে। নোলক কী রোহিনীকে দোষী প্রমাণ করতে সফল হবে?


অনুরাগের ছোঁয়া


ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে দীপা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় রূপা। সেখানেই দীপার খেয়াল রাখে সূর্য। আর সূর্যকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দীপাকে বোঝাতে থাকে রত্না। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে একসঙ্গে সময় কাটায় পরিবারের সবাই। দীপা আর সূর্যের মধ্যে কী কমবে দূরত্ব?