মুর্শিদাবাদ: গরুপাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) এবার, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গরু ব্য়বসায়ী জেনারুল শেখকে তলব করল সিবিআই। আজই নিজাম প্য়ালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। গত বছরের তেসরা সেপ্টেম্বর, গরুপাচারচক্রের কিংপিন এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ জেনারুলকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেই সময় রাজ্য়ের তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল, এনামুলের ধাঁচেই নিজের কারবার ফেঁদেছিলেন জঙ্গিপুরের বাসিন্দা, জেনারুল। জেনারুলের খোঁয়ারে থাকা, ১৮০০টি গরুর মধ্যে, ১২০০টি গরুকে মৃত ও নিখোঁজ দেখিয়ে পাচার করা হয়েছিল বাংলাদেশে। গরুপাচার চক্রে তিনি ছিলেন সেফ করিডর। বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে জেনারুলের যোগ ছিল বলে সূত্রের খবর। পরবর্তীকালে অবশ্য় জামিনে ছাড়া পান জেনারুল। সেই গরু ব্য়বসায়ীকেই আজ নিজাম প্য়ালেসে তলব করেছে সিবিআই। 


গরুপাচার কাণ্ডে যেদিন তিহাড়ে থাকার মেয়াদ বাড়ল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের, সেদিনই, সিবিআই তলবে নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দিলেন মুর্শিদাবাদের গরু ব্য়বসায়ী জেনারুল শেখ। গত বছরের তেসরা সেপ্টেম্বর


গরুপাচারচক্রের কিংপিন এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ এই জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করে সিআইডি। মুর্শিদাবাদের সুতি ও উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়ার দুটি গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে গ্রেফতারের পর, CID-র তরফে দাবি করা হয়, এনামুলের ধাঁচেই নিজের কারবার গুছিয়েছিলেন জঙ্গিপুরের বাসিন্দা, জেনারুল। 


CID সূত্রে দাবি করা হয়, এনামুলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই গরু পাচার কারবার চালাত জেনারুল। জেনারুলের খোঁয়ারে থাকা, ১৮০০টি গরুর মধ্যে, ১২০০টি গরুকে মৃত ও নিখোঁজ দেখিয়ে পাচার করা হয়েছিল বাংলাদেশে। গরুপাচার চক্রে জেনারুল ছিলেন সেফ করিডর। 


বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে জেনারুলের যোগ ছিল বলে সূত্রের খবর। 
গ্রেফতারির পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান জেনারুল। শুক্রবার সিবিআই তলবে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্য়ালেসে পৌঁছন জেনারুল। CBI সূত্রে খবর, গরুপাচারের কালো টাকাকে সাদা টাকা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল জেনারুলের। শুধু এনামুল হকই নন, চার্জশিটে থাকা তাঁর তিন ভাগ্নেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন জেনারুল। 


এদিকে অন্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে নগদ জমা এবং পরে তা ধাপে ধাপে নিজেদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেওয়া। গরুপাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছিল ইডি। ধোপা থেকে সব্জি বিক্রেতা, এমনকি ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত-সায়গলরা। একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরও বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলে চার্জশিটে দাবি ইডির। 


পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে সায়গলের ফোন দিয়েই গবাদি পশুর ব্যবসা সংক্রান্ত কথাবার্তা বলতেন অনুব্রত মণ্ডল। ED-র জেরায় এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এমনকী তাঁকে ফোন করে অনুব্রতর সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন সায়গল। চার্জশিটে জানায় ED.