মুম্বই: অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রীর কল ডেটা রেকর্ডস (সিডিআর) বেআইনিভাবে সংগ্রহের জন্য কয়েকদিন আগেই আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার একই ধরনের মামলায় বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী তথা টাইগার শ্রফের মা আয়েশা শ্রফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবের কথা ভাবছে পুলিশ।
ঠানে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি অভিস্কে ত্রিমুখে বলেছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে আয়েষা একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে অভিনেতা সাহিল খানের সিডিআর সংগ্রহ করে তা রিজওয়ানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সাহিলের সিডিআর কেন তিনি সংগ্রহ করলেন, তা জানতে আয়েষাকে তলব করা হবে।
ত্রিমুখে আরও জানিয়েছেন, কঙ্গনা রানাউতও হৃত্বিক রোশনের নম্বর রিজওয়ানকে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, রিজওয়ান একজন সেলিব্রিটি আইনজীবী। বিভিন্ন তারকার মামলা সামলেছেন তিনি। কঙ্গনা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকির মতো তারকাদের মামলা সামলেছেন তিনি।
ত্রিমুখে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নোডাল অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কঙ্গনা গত বছর হৃত্বিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। তেমনই আয়েষাও সাহিল খানের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছিলেন।
পুলিশ মনে করছে, সেলিব্রিটি ক্লায়েন্টদের সাহায্য করতে রিজওয়ান সিডিআর সংগ্রহের জন্য অবৈধ উপায় গ্রহণ করেছিলেন। তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। এই অবস্থায় পুলিশ আগামী দিনে রিজওয়ানের আরও কয়েকজন সেলিব্রিটি ক্লায়েন্টদের তলব করতে পারে।
পুলিশ রিজওয়ানের ল্যাপটপ ও ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও আইনজীবীর দাবি, আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, নওয়াজউদ্দিন ও তাঁর ভাইকে বাঁচাতে পুলিশ রিজওয়ানকে বলির পাঁঠা করছে।
ঠানে পুলিশ অবশ্য সাফ জানিয়েছে, সিডিআর স্ক্যামে নওয়াজউদ্দিনের সরাসরি কোনও যোগ নেই। তিনি সাক্ষী মাত্র। চলতি মাসের গোড়ায় ঠানে ক্রাইম ব্রাঞ্চ নওয়াজ ও তাঁর স্ত্রীকে তলব করে। এরপরই সিডিআর দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। অবৈধভাবে কল রেকর্ড ডেটা সংগ্রহ ও খদ্দেরদের কাছে তা বিক্রির এই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বেসরকারি গোয়েন্দারা এই চক্র চালায় বলে অভিযোগ। পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের লগইন সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে কলের বিস্তারিত তথ্য হাতিয়ে তা খদ্দেরদের কাছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ।