The Bengal Files: বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'- এর ট্রেলার লঞ্চ নিয়ে শনিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে। পরিচালকের অভিযোগ, ট্রেলর দেখানোর মাঝেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই ট্রেলারই দেখানো হল সল্টলেকের বিজেপি অফিসে। একটি টিভি স্ক্রিনে চালানো হয়েছিল ট্রেলার। বাংলার বেশ কয়েকজন অভিনেতা রয়েছেন এই ছবিতে। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দাস অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খেরেও মতো বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতারাও। 

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলছেন, 'মমতার সরকার, সংস্কৃতির সরকার, এত ভয় পাচ্ছে? কীসের এত ভয়? এই সিনেমা প্রকাশিত হলে কী দুর্ঘটনা ঘটে যাবে? ১৯৪৬ সালের ১৬ অগস্টকে কেন্দ্র করে একটা সিনেমা তৈরি হয়েছে। সেই সিনেমা, সত্য ঘটনা হোক বা না হোক, সেনসর পাশ হয়ে এসেছে, তারপরেও তাকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে কেন? যদিও প্রযোজক, পরিচালকদের দাবি এবং আমরা যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা জানি, এই সিনেমা সত্য ঘটনার উপর আধার করে তৈরি।' 

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় রিলিজ হতে চলেছে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'। তার আগে ছবির ট্রেলর রিলিজ নিয়ে বাংলাতেই তৈরি হল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। অভিযোগ প্রথমে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে বাধা দেওয়া হয়। তারপর পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয় ট্রেলার লঞ্চ। কেন একজন পরিচালকের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। বিবেক অগ্নিহোত্রীর 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে যে তুলকালামকাণ্ড বাধল তা নিয়ে ইতিমধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ট্রেলার লঞ্চে এদিন যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল, এতে আখেরে কার লাভ হল? পাশাপাশি কে কী নিয়ে সিনেমা তৈরি করবে, তার মধ্যে রাজনীতি আসবে কেন, এই প্রশ্নও তুলেছেন বিশিষ্টদের একাংশ। 

বিবেক অগ্নিহোত্রীর ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে অশান্তি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনীতি! একদিকে পরিচালকের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। তৃণমূল আবার এই সিনেমাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছে। ট্রেলার লঞ্চ আটকে দিয়ে আদতে বিজেপি ও পরিচালকেরই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে বলে মতপ্রকাশ করেছে সিপিএম। 'সত্যজিৎ রায়ের রাজ্যে সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে বাধা। চলতে চলতে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেলার। কিছু সমস্যা আছে, জানান হোটেলের আধিকারিক। কী সমস্যা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তার কেটে দেওয়া হয়', অভিযোগ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর।