কলকাতা: মাছে ভাতে বাঙালি গোয়েন্দা 'একেন'। সঙ্গী বাপি আর প্রমোথকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়েন তিনি সফরে। এইবার তাঁর গন্তব্য ছিল দার্জিলিং। সেখানে গিয়েই অভিনেত্রী বিপাশা মিত্রের এর রহস্য গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন একেন। তারপর? আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে একেনবাবু-র নতুন গল্প 'দ্য একেন' (The Eken)।


জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'একেনবাবু'-এবার বড়পর্দায়। ওয়েব সিরিজের মতোই ছবিতেও একেনের চরিত্রে থাকছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কিন্তু ছবিতে বদলে গিয়েছে তাঁর সঙ্গীরা। ওয়েবে সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যেত একেনের সঙ্গী বাপির চরিত্রে। অন্যদিকে ব্যাবলকে দেখা যায় প্রমোথের চরিত্রে। কিন্তু বড়পর্দায় বদলে গিয়েছে একেনের সঙ্গীরা। সুহত্র মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাবে প্রমোথের চরিত্রে আর বাপির চরিত্রে দেখা যাবে সোমক ঘোষকে। 


কেন পরিবর্তন বাপি, প্রমোথ?


একেনের সঙ্গী পরিবর্তন নিয়ে অবশ্য একেন ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকের মতেই একেনের সঙ্গে সৌম্য আর দেবপ্রিয়র বন্ধুত্ব অনেক ভালো ছিল। তাই বড়পর্দায় একেনের সঙ্গী হিসেবে তাদেরই দেখতে চেয়েছিলেন অনেকে। এই পরিবর্তনের পিছনে কী বিশেষ কোনও চিন্তাভাবনা ছিল পরিচালকের? 


এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক জয়দীপ (Joydeep Mukherjee) বলছেন, 'আমার একেনের সঙ্গীদের বদলানোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। সৌম্য বর্তমানে একটা ধারাবাহিকে কাজ করছে। গোটা শ্যুটিং হয়েছিল দার্জিলিংয়ে। ওর পক্ষে ১৫ দিন দার্জিলিংয়ে গিয়ে শ্যুটিং করা সম্ভব ছিল না। আর ব্যবল থাকে আমেরিকাতে। শেষ সিজনেও ওকে ভীষণ কম দেখানো হয়েছে, ভিডিও কলে কথা বলানো হয়েছে। কারণ ও এখানে আসতেই পারেনি। যখন 'দ্য একেন' করার পরিকল্পনা হয়, ব্যবলকেই বলা হয়েছিল। কিন্তু ভিসা না পাওয়ার কারণে ব্যবলও পৌঁছতে পারল না। তাহলে এই দুটো মানুষের জন্য একেন বড়পর্দায় আসবে না তা কি হয়। আমরা পরিকল্পনা করতে শুরু করলাম ওদের বদলে কাকে নেওয়া যায়। তখনই সোমক আর সুহত্রর কথা মাথায় এল।'


আরও পড়ুন: বাস্তবে মুখে তোলেন না পাঁঠার মাংস, ক্যামেরায় আয়েশ করে 'মাটন ভাত' খেতে হয় 'একেন' অনির্বাণকে!


পুরনো কাস্টদের পেলে আরও ভালো হত 'দ্য একেন'-এমন আফশোস রয়েছে? জয়দীপ বলছেন, 'আমার কোনও আফশোস নেই। কারণ আমি চিত্রনাট্য পাঠ থেকে শুরু করে বহুবার ওদের তিনজনের সঙ্গে বসেছি, চেষ্টা করেছি ওদের মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি করে দেওয়ার সেটা যাকে স্ক্রিনেও বোঝা যায়। কিছু লোক অবশ্য বলছেন এই বাপি প্রমথকে মানা যাচ্ছে না। আসলে প্রথম কিছু মেনে নিতে মানুষের একটু সমস্যা হয়। যখন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করতেন, তারপর সব্যসাচী চক্রবর্তীকে মানুষের মেনে নিতে একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে ছবিটা যত এগোবে, আমি বিশ্বাস করি মানুষ এই বাপি আর প্রমথকেও ভালোবেসে ফেলবে।'