মুম্বই: আজ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি জন্মদিন বলিউডের এক জন্মপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রীরও। তিনি রাখি গুলজার। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশ যখন স্বাধীন হয়, তার কয়েক ঘণ্টা পরই নদিয়ার রানাঘাটের এক বাঙালি পরিবারে রাখি মজুমদার নামে জন্ম হয় তাঁর। যদিও বিনোদন জগৎ তাঁকে রাখি নামেই চেনে এবং সেই নামেই বিখ্যাত হন তিনি। 'বধূবরণ', 'বাঘিনী', 'অনুসন্ধান'র মতো বাংলা ছবি এবং 'কভি কভি', 'কালা পাথ্থর', 'শান' এবং আরও বহু হিন্দি ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকরা দেখেছেন। আজ সেই রাখি গুলজারেরও ৭৫ তম জন্মদিন।
রানাঘাটেরই এলাকার স্কুলে পড়াশোনা। অল্প বয়সেই সাংবাদিক তথা ছবি পরিচালক অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রাখির। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের মাত্র দু বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বিখ্যাত গীতিকার এবং পরিচালক গুলজারকে তিনি বিয়ে করেন। এরপরই রাখি গুলজার হয়ে ওঠেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, লাইফটাইম অ্য়াচিভমেন্টের পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন রাখি গুলজার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'এখনও কিছুই অর্জন করা হয়নি। আর তাছাড়া আমার জীবনও এখনও শেষ হয়ে যায়নি।'
১৯৬৭ সালে প্রথম বাংলা ছবি 'বধূবরণ' দিয়ে অভিনয় শুরু করেন রাখি গুলজার। এরপর ১৯৭০-এ ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে 'জীবন মৃত্যু' ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। পরবর্তীকালে বাংলা, অসমিয়া এবং বহু হিন্দি ছবিতে বলিষ্ঠ অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে 'অনুসন্ধান' বাংলা ছবির দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পরবর্তীকালে ২০০৩ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় 'শুভ মহরত' ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন রাখি। ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে নাম মনোনয়নের হিসেবে মাধুরী দীক্ষিত এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের পরই তাঁর নাম আসে।
রাখি গুলজারের মেয়ে মেঘনা গুলজারও বলিউডের ছবি পরিচালক। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি বলিউডে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। 'ফিলহাল', 'জাস্ট ম্যারেড', 'দশ কাহানিয়া'র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন মেঘনা।