নয়াদিল্লি: ২৬ মার্চ হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ভোজপুরি অভিনেত্রী (Bhojpuri Actress) আকাঙ্ক্ষা দুবের (Akanksha Dubey) দেহ। বলা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বারাণসীতে (Varanasi) শ্যুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী কেন আত্মহত্যা করলেন তা এখনও জানা যায়নি। যদিও তাঁর সহ অভিনেত্রী কাজল রঘওয়ানির (Kajal Raghwani) কথায় এখন তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সোমবার কাজল একটি খোলা চিঠি লেখেন, যেখানে তাঁর দাবি আকাঙ্ক্ষা আত্মহত্যা করেননি।
'আত্মহত্যা করেননি আকাঙ্ক্ষা', দাবি সহ-অভিনেত্রীর
ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবের দেহ উদ্ধার হয় গতকাল, বারাণসীর এক হোটেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। রবিবার ইনস্টাগ্রামে আকাঙ্ক্ষার বন্ধু ও সহ অভিনেত্রী কাজল রঘওয়ানি তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন যে আকাঙ্ক্ষা আত্মঘাতী হননি। হিন্দিতে তিনি লেখেন, 'তোমার ভয় আজ সত্যি প্রমাণিত হল, আর তুমি তোমার সাহসের ওপর ভয়টাকেই জিততে দিলে। দ্বিতীয় শ্যুটিংয়ে যাওয়ার আগে তুমি তোমার অনুভূতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে গেলে। এখন তুমি যে বিষয়ে ভয় পেয়েছিলে, যে বিষয়ে চিন্তিত ছিলে, তা হবে না।'
তিনি আরও লেখেন, 'এখন, তুমি যেখানেই আছ, সেখানে সিংহীর মতো থাকো, নিজের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করো। আর আমি আশা করি যে যে খুশি আনন্দ তুমি এখানে পাওনি সবটা পাও। কিন্তু আমি কখনও বিশ্বাস করব না যে তুমি নিজেকে শেষ করতে পার। ঈশ্বর আছেন, এবং তিনি নিশ্চয়ই ওদের বাধ্য করবেন তোমার জীবনের মূল্য চোকাতে, আজ না হোক কাল।'
মনে করা হচ্ছে, এই পোস্টের মাধ্যমে কাজল ইঙ্গিত করছেন আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর জন্য তাঁর প্রেম জীবন দায়ী। পোস্টের শেষে কাজল লেখেন, 'সত্যিকারের ভালবাসার মূল্য জীবন দিয়ে বা কারও জীবন নিয়ে দিতে হয় না। যেখানেই আছ সুখে থেকো।'
রবিবারই আকাঙ্ক্ষার দেহ উদ্ধারের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। ট্যুইটারে এই ভিডিও পোস্ট করে বলা হয় মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই লাইভে এসেছিলেন তিনি।
রবিবারই অভিনেত্রীর মিউজিক ভিডিও 'ইয়ে আরা কভি হারা নহি' (Ye Aara Kabhi Hara Nahi) মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আর সেদিনই এই দুর্ভাগ্যজনক খবর প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি অভিনেত্রী শিরোনামে আসেন ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন তাঁর প্রেমের কথা প্রকাশ্যে এনে। সহ অভিনেতা সমর সিংহের সঙ্গে ছবির পোস্ট করে তিনি লেখেন 'হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে'। প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।