নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ খারিজের পরে ফের মোদিকে নিশানা করে ট্যুইট আক্রমণ রাহুল গাঁধীর। ফের আদানি-ইস্য়ু তুলে ধরেই তুলোধনা রাহুলের। 


কয়েকদিন আগেই আদানি গ্রুপকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে কেঁপে গিয়েছিল বিশ্বের ব্যবসায়িক মহল। শেয়ার মূল্য তছরূপ এবং ব্যবসা সংক্রান্ত হিসেবে আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। তারপরেই আদানির একাাধিক শেয়ারমূল্য ব্য়াপক তলানিতে নেমেছিল। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে আদানি সংস্থার তরফে।


রাহুলের প্রশ্ন:
তখনই প্রশ্ন উঠেছিল এলআইসি, ইপিএফও, এসবিআই-এর তরফে আদানির সংস্থায় কেন লগ্নি করা হয়েছে। সেই একই প্রশ্ন ফের তুললেন রাহুল গাঁধী। ২৭ মার্চ একটি ট্যুইটে রাহুলের প্রশ্ন, 'lic-এর পুঁজি আদানিতে, SBI-এর পুঁজি আদানিতে, EPFO-এর পুঁজি আদানিতে।' হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরেও সাধারণ মানুষের জমনো অর্থ কেন আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের। তাঁর কটাক্ষ, 'তদন্তও নেই, জবাবও নেই, এত ভয় কীসের?'


মোদি পদবী নিয়ে একটি বক্তব্যের জন্য মানহানির মামলা হয়েছিল। পুরনো সেই মামলায় রাহুলকে ২ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার জন্যই রাহুলের সংসদ পদও খারিজ করা হয়েছে। যদিও তারপরেও প্রশ্ন করতে পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছেন রাহুল। শনিবারই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হোক বা তিনি সংসদে না থাকুন- যাই হয়ে যাক আদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা থেকে কোনওভাবেই বিরত থাকবেন না। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল আরও বলেছেন, 'আমি ভারতীয়দের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার জন্য লড়ব। আমি কোনওরকম হুমকি, পদ খারিজ বা জেলের ভয় পাই না। এরা আমায় এখনও বোঝেনি। আমি ওদের ভয় পাই না।' আদানি ও মোদির সম্পর্ক নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাহুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গৌতম আদানির কী সম্পর্ক তা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেই যাব। যখন নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এই সম্পর্ক শুরু। আমি এটা নিয়ে প্রশ্ন করেই যাব।'


সংসদে হট্টগোল:
রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। হট্টগোলের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। এদিন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাও কালো পোশাক করে এসেছিলেন। 


আরও পড়ুন: অপেক্ষার দিন শেষ ! ভারতে আসছে ল্যাম্বরগিনি উরুস এস, ১৩ এপ্রিল লঞ্চ