বহুদিন বড় পর্দায় দেখা যায়নি শর্মিলাকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে নতুন কিছু ঘটেনি। নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর সব অভিনেত্রীর সঙ্গে এমনটা হয়। মাধুরী দীক্ষিতের বয়স অনেক কম, তাঁর সঙ্গেও এটা ঘটেছে। দেড় ইশকিয়ার পর আর ছবি পাননি তিনি। অথচ অমিতাভ বচ্চনের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। সুজিত সরকারের মত পরিচালক ওঁর কথা মাথায় রেখে চরিত্র তৈরি করেন।
বিগ বি এখন যে জায়গায় পৌঁছেছেন, তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। তা মেনে নিয়েছেন শর্মিলা। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, অমিতাভ যে সুবিধে পেয়েছেন তা অভিনেত্রীরা পান না। ঋভু দাশগুপ্তর ছবি টিইথ্রিএনের কথা ভাবুন। কোরীয় ছবির রিমেক। অমিতাভকে জায়গা দিতে মহিলা চরিত্রকে পুরুষ চরিত্রে বদলে দেওয়া হল। অথচ মহিলা শিল্পীদের এমন সুযোগ কেউ করে দেন না।
পাশাপাশি আবার অমিতাভ যদি আইনজীবীর চরিত্রে না থাকতেন, তাহলে পিঙ্ক কেউ দেখত না। সিনেমা সমাজের বাস্তবটা তুলে ধরে। কোনও মহিলার কথা ভেবে এমন চরিত্র তৈরি হয় না, কারণ তাতে তিনি মুখ্য চরিত্র হয়ে যাবে। কিন্তু আশার কথা, আঞ্চলিক ছবির ক্ষেত্রে নিয়মটা অন্যরকম। বয়স্ক অভিনেত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নির্মাণ হয় সেখানে।