কলকাতা: এবার টালিগঞ্জের (Tollywood) স্টুডিও পাড়াতেও 'থ্রেট কালচার'-এর (Threat Culture) অভিযোগ। আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন টলিউডের এক হেয়ার ড্রেসার (Hair Dresser)। সিলেকশনের বদলে ইলেকশন চেয়েছিলেন তিনি, সেই কারণে তাঁর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশন। কী প্রতিক্রিয়া পরিচালক সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy)? 


'কাউকে সাসপেন্ড করা বেআইনি', প্রতিক্রিয়া পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের


একের পর এক কাজ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল বলেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই কেশসজ্জা শিল্পী। দেনায় জর্জরিত হয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হেয়ার ড্রেসার, দাবি পরিবারের। গিল্ডের ১১ জনের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের কথায়, 'একটি মেয়ের জীবন সংশয় হয়ে উঠেছিল এবং তাঁকে কর্মক্ষেত্র থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল যেটা পুরোটাই নিয়ম বহির্ভূত। মানে এটা বেআইনি। এটা হতে পারে না। ওঁর গিল্ড ওঁকে যে চিঠি দিয়েছিল তাতে বলা হয় যে তোমার কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়েছে কিন্তু তুমি একমাত্র সেই কাজই করতে পারবে যেটা আমরা তোমাকে দেব। তুমি নিজের এলেমে কাজ নিতে পারবে না। এটা কখনও কাউকে বলা যায় না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।'


 



আরও পড়ুন: Rajinikanth on Amitabh Bachchan: বাড়ি বিক্রি করতে হয়! 'গোটা বলিউড হাসাহাসি করেছিল...', অমিতাভের আর্থিক অনটনের সময় প্রসঙ্গে রজনীকান্ত বললেন...


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও টলিপাড়ায় কাজে 'বৈষম্য' অব্যাহত। এই বিষয়ে যদিও মুখ খুলতে চাননি সিনে অ্যান্ড ভিডিও হেয়ার স্টাইলিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রীনা মণ্ডল। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ইলেকশন চাওয়ায় প্রথমে সাসপেন্ড, পরে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই অভিযোগ হেয়ার ড্রেসারের সহকর্মী আরেক হেয়ার ড্রেসার চন্দ্রা মিত্রর। হাসপাতালে যে থ্রেট কালচারের কথা শোনা যাচ্ছে, তার থেকে বেশি হুমকি-হুঁশিয়ারি চলে স্টুডিও পাড়ায়, দাবি অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর। শনিবার রাতের দিকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে আক্ষেপের সুরে পোস্ট করেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি লেখেন, 'আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশসজ্জা শিল্পী, আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যার আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে শুয়ে। সুইসাইড নোট লিখে রেখে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কোনওরকমে ঠেকানো গেছে। ওকে বাঁচানো গেছে। চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যাবেলা মেসেজ করে আমার সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময়মতো উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।' অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব, কথা দিলাম।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।