কলকাতা: জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty) ও অভিনেতা উদয় প্রতাপ সিংহ (Uday Pratap Singh)। তাঁদের প্রেমের গল্প অজানা ছিল না কারোরই। শোনা গিয়েছিল, এই মাসের শেষেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তাঁরা। সেইমতো, ২৮ তারিখ, বুধবার বিয়ে সারলেন টলিপাড়ার এই জুটি। ফের কি টলিপাড়ায় এক প্রেম ভাঙার গল্প? সংসার ভাঙছে অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das)? সোশ্যাল মিডিয়ায় নবনীতার পোস্টে কার্যত অবাক অনুরাগী থেকে শুরু করে তামাম নেটদুনিয়া! একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেও ভাঙনের সুর অভিনেত্রীর লেখায়! দিনভর বিনোদন দুনিয়ায় নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নিন বিনোদনের সারাদিন।


রাতুল-হিয়ার প্রেমের পরিণতি


জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty) ও অভিনেতা উদয় প্রতাপ সিংহ (Uday Pratap Singh)। তাঁদের প্রেমের গল্প অজানা ছিল না কারোরই। শোনা গিয়েছিল, এই মাসের শেষেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তাঁরা। সেইমতো, ২৮ তারিখ, বুধবার বিয়ে সারলেন টলিপাড়ার এই জুটি। খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন এই তারকা জুটি। লাল বেনারসি সাজে বধূবেশ নয়, একেবারে ছিমছাম অথচ অত্যন্ত আভিজাত্যেই আয়োজন করা হয়েছিল বর কনের সাজ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সাজসজ্জার। একটি হালকা পিচ রঙের ডিজাইনার শাড়ি পরেছিলেন অনামিকা। গলায়, কানে ও হাতে ছিল মানানসই ছিমছাম গয়না। খোলা চুলের মাঝখানে সিঁথি আর সেখানেই ঝলমল করছে লাল সিঁদুর। নববধূর সাজ বলতে এটুকুই। অন্যদিকে উদয় প্রতাপ পরেছিলেন একটি সাদা কাজ করা শেরওয়ানি। বর ব বধূ দুজনের গলাতেই ছিল গোলাপের মালা। সিঁদুরদান করে আইনি বিয়ে সারেন দুজনেই। আর তারপরে জাস্ট ম্যারেড লেখা কেক কাটেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের আদুরে ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন অনামিকা। লিখেছেন, আমাদের জীবনের একটা নতুন শুরু। আমরা অবশেষে এটা করতে পারলাম।' এরপরে উল্লেখ করে দিয়েছেন বিয়ের তারিখ। উল্টোরথে দিনই বিয়ে সারেন এই জুটি। 


পুরীর রথযাত্রায় সামিল রাজ-শুভশ্রী


রথে জগন্নাথ দর্শন করতে পুরীতে হাজির সস্ত্রীক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhasree Ganguly), ফের মা হতে চলেছেন তিনি। সদ্য়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সুখবর জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আর তারপরে, রথে পুরীতে জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ নিতে ছুটে গিয়েছিলেন সবাই।রাজ ও শুভশ্রী জগন্নাথদেবের ভক্ত। অন্য আর পাঁচটা বাঙালি পরিবারের মতোই হামেশাই পুরীতে আসা-যাওয়া লেগে থাকে রাজ-শুভশ্রীর। জীবনের অনেক বড় কাজের আগেই জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ নিতে যান তাঁরা। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ছিল উল্টোরথ। তাঁর আগেই পুরীতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ ও শুভশ্রী। সঙ্গ নিয়েছিলেন শ্রাবন্তীও। অভিনেত্রী রাজ ও শুভশ্রীর প্রতিবেশী, থাকেনও তাঁদের আবাসনেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন ছবি। সেখানে দেখা গেল, সাদা সালোয়ার কামিজে, মাথায় ওড়না দিয়ে রথের উৎসবে সামিল হয়েছিলেন শুভশ্রী ও শ্রাবন্তী। সাদা পোশাকে শুভশ্রীকে ভিড়ের থেকে আগলে ছিলেন রাজ। জগন্নাথ মহাপ্রভুর মন্দির দর্শনও করেন তাঁরা। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভশ্রী ও শ্রাবন্তীর সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটানোর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই সফরে সামিল হয়েছিলেন শুভশ্রীর বন্ধুরাও। 


সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়


তাঁর মৃত্যুতে কার্যত নড়েচড়ে বসেছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রি। শত শত অনুরাগীর মনখারাপ, একাধিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ সব মিলিয়ে বারে বারে শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর মৃত্যু। প্রাণোচ্ছল, প্রতিভাবান এক তরুণ অভিনেতার জীবন যে মাত্র ৩৪ বছরে থেকে যাবে, তা যেন মেনে নিতে পারেননি কেউ। এখনও। যাঁরা তাঁর অনুরাগীও ছিলেন না, তাঁদেরও সমানভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের (Sushant Singh Rajput)-এর মৃত্যু। ২০২০ সালের ১৪ জুন নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঠিক কেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেতা, এমনকি তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে ছিল অন্য রহস্য, সেই উত্তর আজও মেলেনি। ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুশান্ত সিংহ মৃত্যু মামলার বিভিন্ন তদন্ত চলছে। তবে সম্প্রতি এই তদন্তের একটি বড় পদক্ষেপের কথা জানালেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত মামলার অগ্রগতির কথা জানাতে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যা যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার সবটাই কানে শোনা। কিছু কিছু ব্যক্তি মনে করছেন, তাঁদের কাছে এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পুলিশের কাছে জমা দিতে।


নতুন নায়কের বিপরীতে ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রে রূকমা, থাকছেন অঞ্জনাও


ফের নতুন ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রে অভিনেত্রী রূকমা রায় (Rooqma Ray), দীর্ঘদিন পরে ছোটপর্দায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ফিরছেন অঞ্জনা বসুও (Anjana Basu)। এসভিএফ টেলিভিশনের নতুন কাজ, সান বাংলায় আসছে নতুন ধারাবাহিক 'রূপসাগরে মনের মানুষ' (Roopsagore Moner Manush)। ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্র থাকলেও এখনও প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি প্রকাশ্যে আনা হয়নি তাঁর মুখও। এই ধারাবাহিকের পরিচালনা করছেন শমীক বসু (Shamik Bose), ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন অদিতি রায় (Aditi Roy)। ৩ জুলাই থেকে সন্ধে সাড়ে আটটার স্লটে দেখা যাবে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের নাম ও গল্প তুলে ধর্মে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা এক প্রশ্নকে। সত্যিই কী মানুষের রূপের সঙ্গে গুণের কোনও যোগ রয়েছে? রূপ দেখে তবেই কী মনের মানুষ বেছে নেন সবাই? সেই গল্পকেই ধারাবাহিকের মোড়কে নিয়ে আসছে এই ধারাবাহিক।  এই ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রের নাম অন্নপূর্ণা। ভালবেসে তাঁকে ডাকা হয় পূর্ণা বলে। ছোটবেলা থেকেই পরিবারের মধ্যে বড় হয়েছে অন্নপূর্ণা। অপরূপা সুন্দরী সে। পড়াশোনাতেও খুব ভাল। বাবার স্বপ্নকে সত্যি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। পড়াশোনাতেও খুব ভাল পূর্ণা। নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে সে এমন কাউকে চায়, যে রূপ না দেখে ভালবাসবে মানুষ পূর্ণাকে।


ঘর ভাঙছে জিতু-নবনীতার?


ফের কি টলিপাড়ায় এক প্রেম ভাঙার গল্প? সংসার ভাঙছে অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das)? সোশ্যাল মিডিয়ায় নবনীতার পোস্টে কার্যত অবাক অনুরাগী থেকে শুরু করে তামাম নেটদুনিয়া! একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেও ভাঙনের সুর অভিনেত্রীর লেখায়! কিছুক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সেখানে নবনীতা ও জিতুর একসঙ্গে হাসিমুখের ছবি ঝলমল করছে। তিনি লিখেছেন, ' টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না। একজনের জন্য বানানো গ্রীন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবে না। তোয়ালে শেয়ার হবে না, সানস্ক্রিন ভাগাভাগি হবে না।  কিছুই আর এক সঙ্গে হবে না। তবুও জানি এমতাবস্থায় আমাকে সবকিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো। গ্যাস বুকিং থেকে শুরু করে মেডিক্লেমের টাকা দেওয়া, সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো। লেখার হাত আমার বরাবরই কাঁচা, এটা তো তোমার কাজ ছিল। তাও নিজে একটু চেষ্টা করলাম। তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে ভালো নেই। প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক। ভালো থাকো জিতু কমল।'