কলকাতা: মাতৃদিবসে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনলেন একরত্তি ছেলের ছবি। যাকে নিয়ে একসময়ে তুঙ্গে ছিল উত্তেজনা, যাকে একঝলক দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও, মাতৃদিবসে প্রথমবার তারই ছবি সামনে আনলেন নুসরত জাহান। অন্যদিকে, বিয়ের দিন সাবেকি পোশাকে সেজেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রিসেপশনে ছক ভাঙলেন নবদম্পতি আদৃত রায় (Adrit Roy) ও কৌশাম্বী চক্রবর্তী (Kaushambi Chakraborty)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য নিজেদের রিসেপশনের লুক শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁরা। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর কাড়ল কোন কোন পোস্ট? দেখে নিন আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার সেরা পোস্টগুলি


 


প্রথমবার ছেলের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন নুসরত, জানেন ঈশানের ডাকনাম কী?


মাতৃদিবসে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনলেন একরত্তি ছেলের ছবি। যাকে নিয়ে একসময়ে তুঙ্গে ছিল উত্তেজনা, যাকে একঝলক দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও, মাতৃদিবসে প্রথমবার তারই ছবি সামনে আনলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। ১২ মে, আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে প্রথমবার ছেলে ঈশানের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন নায়িকা। নুসরতের মা হওয়া নিয়ে জল্পনা, বিতর্কের পেরিয়ে গিয়েছে ৩ বছর। স্মৃতি ফিকে হয়। নুসরতকে নিয়ে বিতর্কও এই রীতির মধ্যেই পড়ে। একসময় যাঁর বিয়ে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল চর্চার কেন্দ্রে, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মা হওয়া.. এই সবকিছু নিয়েই শিরোনামে থাকত নুসরত জাহানের নাম। সেই সময়ে কোনোদিন মুখ খোলেননি নুসরত। শক্ত হাতে কেবল নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। এখন নিজের জীবন নিয়ে থিতু নুসরত। যশের সঙ্গে সংসার করছেন চুটিয়ে। তবে একরত্তি সন্তানকে গত ৩ বছর ধরে আগলেই রেখেছিলেন নুসরত। তার কথা বললেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও প্রকাশ্যে আনতে চাননি তাঁর ছবি। এমনকি একবার ছোট্ট ঈশানের ছবি শেয়ার করেও তা তিনি মুছে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। তবে, ঈশানের ছবি প্রকাশ্যে আনার জন্য, নুসরত বেছে নিলেন মাতৃদিবসকেই। নুসরত আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম দুটি ছবিই ঈশানের সঙ্গে। একরত্তি ঈশান হাসিমুখে বসে রয়েছে মায়ের কোলে, কখনও আবার মেতেছে খুনসুটিতেও। নিজের মায়ের সঙ্গে কেক কাটার ও কেক খাইয়ে দেওয়ার ছবিও শেয়ার করেছেন নুসরত। তাঁর নিজের মা হয়ে ওঠা ও নিজের মায়ের স্নেহছায়া, দুটি ছবিই শেয়ার করে নিয়েছেন নায়িকা। আরও একটি ছবি রয়েছে কেকের। গোলাপি সেই কেকে লেখা, 'বেস্ট মম এভার'। ছবিতে, কেকে, পোশাকে গোলাপি ছোঁয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরতের এই পোস্টে বন্ধু তনুশ্রী মন্তব্য করেছেন, 'তুমি যে সেরা মা, সেটা আমার থেকে ভাল আর কেই বা জানে'। প্রসঙ্গত, নুসরত ও তনুশ্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব বর্তমানে বেশ চর্চার বিষয় ইন্ডাস্ট্রিতে।  আজ নুসরত যে ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে নেটিজেনদের মন্তব্য, ঈশানকে নাকি অবিকল যশের মতোই দেখতে হয়েছে। নুসরতের সঙ্গে খুদের কোনও মিলই নেই। নুসরত পুত্রের নাম যে ঈশান, সেকথা ইতিমধ্যেই জানেন সবাই। তবে জানেন কি ঈশানের ডাকনাম কী? ঈশানের জন্মের পরে এবিপি লাইভকে (ABP Live) দেওয়া সাক্ষাৎকারে যশ জানিয়েছিলেন, তিনি ও নুসরত মিলে ঈশানকে 'অংশ' বলেই ডাকেন। 


 






 


বিয়েতে সাবেকি, রিসেপশনে ছকভাঙা সাজে আদৃত-কৌশাম্বী, অতিথি ছিলেন কারা?


বিয়ের দিন সাবেকি পোশাকে সেজেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রিসেপশনে ছক ভাঙলেন নবদম্পতি আদৃত রায় (Adrit Roy) ও কৌশাম্বী চক্রবর্তী (Kaushambi Chakraborty)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য নিজেদের রিসেপশনের লুক শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁরা। সাদার ওপর রুপোলি কাজের শেরওয়ানিতে সেজেছিলেন আদৃত। অন্যদিকে, কৌশাম্বী পরেছিলেন একই রঙের কম্বিনেশনে ঘেরওয়ালা লেহঙ্গা। তাঁদের রিসেপশনের লুক প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই, তবে আজ সন্ধেয় নিজেরাই রিসেপশনের লুক শেয়ার করে নিয়েছেন আদৃত ও কৌশাম্বী। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুজনে। খোলা চুলে মুক্তো আর পাথরের সাজ কৌশাম্বীর। মাঝখানে সিঁথি কেটে তাতে চওড়া সিঁদুর। হাসিমুখে কৌশাম্বি একহাতে গাল টিপে ধরে রয়েছেন আদৃতের। বরের মুখেও হাসি। কৌশাম্বীর হাতে শাখা-পলা, মুখে মুক্তোর মতো হাসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখে দুজনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা। বিয়ের দিন সাবেকি সাজলেও, এদিন কৌশাম্বী ও আদৃত ছক ভেঙে সেজেছিলেন। মনোহরা পরিবারের সবাই হাজির ছিলেন এদিন। এমনকি বিয়ের দিন আসতে পারেননি অভিনেত্রী দিয়া, তিনিও এসেছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। তবে বিয়ের মতোই, আদৃত-কৌশাম্বীর রিসেপশনেও দেখা গেল না 'মিঠাই' সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)-কে। যে বিয়ে উপলক্ষ্যে জমায়েত হয়েছে মনোহরা পরিবার, সেখানে, সেই পরিবারের প্রাণকেন্দ্র 'মিঠাই'-এর না থাকাকে মোটেই ভালভাবে নেননি সৌমিতৃষা অনুরাগীরা। এমনকি বিয়ের দিন মিঠাইকে ছাড়া জয় গোপাল ধ্বনি উঠতেই চটেছিলেন অনেকে। 


 






আরও পড়ুন: Top Entertainment News Today: 'মাদার্স ডে'-র গল্পে ডোনা, হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং অভিজিৎ! আজকের বিনোদনের সারাদিন