বেঙ্গালুরু: প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে হলে প্রথমে জয় পাওয়াটা খুব দরকার আরসিবির জন্য়। আর তার জন্য ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বড় রান বোর্ডে তোলাটা বেশি প্রয়োজন ছিল। শুরুতে বিরাট ও ফাফ বড় রান করতে না পারলেও মাঝের ওভারগুলোতে পার্টনারশিপ গড়লেন রজত পাতিদার ও উইল জ্যাকস। অর্ধশতরান হাঁকালেন রজত। ৪১ রানের ইনিংস খেললেন জ্যাকস। শেষ দিকে ক্য়ামেরন গ্রিন ৩২ রান করলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৭/৯ বোর্ডে তুলে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুুরু। 


এদিন পন্থ খেলতে পারেননি। তাঁকে এক ম্য়াচ নির্বাসিত করা হয়েছিল। দিল্লির নেতৃত্বে দিচ্ছেন এই ম্য়াচে অক্ষর পটেল। টস জিতে এদিন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অলরাউন্ডার। ওপেনিংয়ে বিরাট ও ফাফ নেমেছিলেন যথারীতি। কিন্তু আরসিবি অধিনায়ক মাত্র ৬ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এদিন মুকেশ কুমারের বলে আউট হয়ে। বিরাট শুরুটা ভাল করেছিলেন। তিনটি ছক্কাও হাঁকান। তবে ১৩ বলে ২৭ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তবে এরপরই উইল জ্যাকস ও রজত পাতিদার মিলে দলের হাল ধরেন। দু জনে লম্বা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। জ্যাকস তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য়দিকে রজত পাতিদার তাঁর দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত রাখেন এই ম্য়াচেও। অর্ধশতরান হাঁকান আরও একবার। ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। নিজের ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান পাতিদার। ২৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। মাহিপল লোমর ৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। 






দিল্লি বোলারদের মধ্যে খলিল আহমেদ ও রশিখ সালাম দুটো করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ইশান্ত, মুকেশ ও কুলদীপ। অক্ষর পটেল বল করলেও কোনও উইকেট তিনি পাননি। মুকেশ কুমার ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বল করছেন চলতি মরশুমে দিল্লির জন্য। এদিনও শেষ ওভার তিনিই করতে এসেছিলেন। দুটো উইকেটও খোয়ায় আরসিবি সেই ওভারে।