কলকাতা: ফেলুদা বলতেই যেন একরাশ ছোটবেলা। কিশোর বয়সে যিনি আমাদের প্রায় সব বাঙালির জীবনেই মুঠো মুঠো রহস্য ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি ফেলুদাই। আর সব বাঙালির মতো, তিনিও অল্পবয়সে নিজেকে তোপসে ভাবতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভাবনা বদলে গেল ফেলুদাতে। অর্থাৎ, ফেলুদার কথা কল্পনা করলেই সেই চরিত্রে নিজেকে দেখতেন তিনি। তারপর? তারপর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের অফার.. শ্যুটিং.. নিজেকে ফেলুদা হিসেবে দেখা.. গোটা সফরটা যেন স্বপ্নের মতো টোটা রায়চৌধুরীর (Tota Roychoudhury) কাছে।
প্রথম ফেলুদার অফার
প্রথম যখন জানলেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) ফেলুদা আপনি, কেমন ছিল সেইদিনটা? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে 'ফেলুদা' টোটা বললেন, 'আমি প্রথমে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। সৃজিত আমায় টেক্সট করেছিল, তোমার কোনও অডিশান নেব না। আমি তোমায় মনোনীত করলাম, তুমিই আমার ফেলুদা। মেসেজটা পেয়ে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। ভাবছিলাম, 'কী লিখেছে? তুমি আমার ফেলুদা নয়? অডিশান নেওয়ারও দরকার নেই? আমি বুঝতে পারিনি... বার্তাটি আত্মস্থ করতে আমার ১০ মিনিট সময় লেগেছিল। মনে আছে, আমি ধপ করে বসে পড়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, জীবনে এই একটা পাওয়া যেটা মন প্রাণ দিয়ে চেয়েছিলাম। সেটা পূরণ হলে যতটা আবেগপ্রবণ হয় মানুষ, ততটাই হয়েছিলাম। তারপর সৃজিতকে ফোন করে বলেছিলাম, তুমি আমার এই চাওয়াটা পূর্ণ করে দিলে, তার জন্য আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।'
আরও পড়ুন: Tota Roy Chowdhury Exclusive: 'নন্দনে ঢুকছি, পিছন থেকে একদল ছেলে-মেয়ের চিৎকার, ফেলুদা..'
'ছিন্নমস্তার অভিশাপ'-এ প্রশংসা আর সমালোচনা দুইই পেয়েছিলেন টোটা। 'দার্জিলিং জমজমাট'-এর সময় সেগুলো কীভাবে কাজে লাগালেন তিনি? টোটা বললেন, 'সঠিক সমালোচনা আমার কাছে উপহার বলে মনে হয়। সবসময় মনে হয়, সেগুলো মাথায় রাখলে নিজেকে আরও ভালো করতে সুবিধা হবে। আমরা, অভিনেতারা নিজেদের ভুলগুলো বুঝি। তাই যেটা সৎ সমালোচনা সেটা আমরা ধরতে পারি আর সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনাও করি। তবে অযথা সমালোচনা অবান্তর। সমস্ত সমালোচনাই মাথায় রেখে গোটা টিম, বিশেষ করে আমি দার্জিলিং জমজমাট-এ কাজ করেছি। দর্শকদের বলব কী পার্থক্য লক্ষ্য করলেন, দেখে অবশ্যই জানাবেন। অপেক্ষায় থাকব।'