বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সালোনি চোপড়ার প্রশ্ন, ‘মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮, কিন্তু সহবাসের সম্মতির বয়স ১৫ কেন?’
টিভি সিরিয়াল গার্লস অন টপ-এর জন্য পরিচিত সালোনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে নিজের স্পষ্ট মত ব্যক্ত করেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appউল্লেখ্য, বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বেই বিতর্ক রয়েছে। এক পক্ষ মনে করে, বিয়ের পরও সহবাসের ক্ষেত্রে অন্যান্য কাজের মতোই স্ত্রীর সহমতি দরকার। অন্যপক্ষ মনে করে, বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ হতে পারে না।
তিনি আরও লিখেছেন, অনেক সময়ই দাবি করা হয়, উচ্চশ্রেণীর শিক্ষিত পরিবারে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। এভাবে অনেক সময়ই যৌন নিগ্রহের ঘটনাকে যুক্তিসঙ্গত করে তোলার চেষ্টা করা হয়।
সালোনি বলেছেন, বিয়ের পরও যৌন সম্পর্কের জন্য সহমতির প্রয়োজন। সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা যায় না।
সালোনি বলেছেন, এটাকে কোনও পারিবারিক ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ ভুল। এমন ধারণাও ঠিক নয় যে, বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন এবং এতে ধর্ষণের মতো অভিযোগ উঠতে পারে না।
এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এমনিতেই ভারতে মহিলাদের বিয়ের বয়স আইন অনুযায়ী, কমপক্ষে ১৮ হতে হবে। অথচ, বৈবাহিক ধর্ষণ তখনই গন্য হবে যখন স্ত্রীর বয়স ১৫-র কম হবে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক।
সালোনি আরও লিখেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, বৈবাহিক সম্পর্কে বলপূর্বক সহবাসকে তখনই অপরাধ বলে গন্য করা হয় যখন স্ত্রীর বয়স ১৫-র কম হবে।
সালোনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমি দেশগুলিতে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গন্য করা হয়। (এর বিরুদ্ধে আইনও রচনা করা হয়েছে)। সালোনির মতে, ভারতেও এই বিষয়ে নজর দিতে হবে।
বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ নিয়ে লেখার শুরুতেই তাঁর প্রশ্ন- It's not really rape, if he's her husband? অর্থাত্ কোনও মহিলার স্বামী হলেই কি ধর্ষণ নয়?
মহিলাদের অধিকার নিয়ে প্রায়শই কথা বলতে দেখা যায় সালোনিকে। নিজের পোস্টে করবাচৌথের মতো প্রথার প্রসঙ্গও নিজের লেখায় উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্বামীর কল্যাণের জন্য এই ব্রত রাখেন মহিলারা।
তিনি অনেকটি বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের মতো দেখতে। তিনিও অভিনেত্রী, টেলিভিশন অভিনেত্রী সালোনি চোপড়া। ইন্সটাগ্রামে সালোনি বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট লিখেছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -