মুম্বই: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বৈশালী টক্করের (Vaishali Takkar) অকাল প্রয়াণে শোকাহত বিনোদন জগত। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি এই খবর। গত রবিবার নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন তিনি   (Vaishali Takkar Death)। অভিনেত্রীর ইন্দোরের বাড়ি থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। 'ইয়ে রিস্তা কেয়া কহেলাতা হ্যায়', 'সসুরাল সিমর কা'-এর মতো জনপ্রিয় সমস্ত ধারাবাহািকে দেখা গিয়েছে বৈশালীকে। আর এবার নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হল তাঁর পুরনো একটি ভিডিও।


ভাইরাল হওয়া পুরনো ভিডিওতে কী বলেছিলেন বৈশালী?


নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রী বৈশালী টক্করের পুরনো একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। আর সেখানে তিনি বলছেন, 'এই যে আমাদের জীবনটা না বন্ধুরা, এটা অত্যন্ত দামী।' জাঙ্ক ফুড খাওয়া, অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করা, সম্পর্কের অবনতির কারণে মদ্যপান, এসবের বিরোধী ছিলেন বৈশালী। বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরও এসব করতে বারণ করতেন। অভিনেত্রী পুরনো ভিডিও ভাইরাল হতেই কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁরা কেউ লিখেছেন, 'অন্যকে বোঝা মানুষটাই আজ চলে গেল।' আবার কেউ লিখেছেন, 'এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে ও আর আমাদের সঙ্গে নেই।'



আরও পড়ুন - Taare Zameen Par: আমির নন, 'তারে জমিন পর'-এ অভিনয় করার কথা ছিল এই বলি তারকার


প্রসঙ্গত, সূত্র অনুযায়ী খবর পাওয়া গিয়েছে যে, অভিনেত্রী বৈশালী টক্করের আত্মহত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক দম্পতিকে। টিভি অভিনেত্রীকে হেনস্থা করা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ এবং ৩৪ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। জানা গিয়েছে এমনটাই। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, 'বৈশালীর প্রতিবেশী রাহুল। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, সেখানে বৈশালী এই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছিলেন। অভিনেত্রী উল্লেখ করেছিলেন যে, রাহুল তাঁকে হেনস্থা করছিলেন। আর সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বাধ্য হন। বৈশালীর বিয়ে হওয়ার কথা চলছিল। আর সেই কারণেই সমস্যা তৈরি করছিলেন রাহুল। অভিযুক্তর খোঁজে তাঁর বাড়িতে তল্লাসী চালায় পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে এখনও।'