কলকাতা: নাগেরবাজারে মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে নাগের মৃত্যুতে তাঁর বন্ধু অনুভব বেরাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। বিদিশার সুইসাইড নোট ও বন্ধুদের বয়ান খতিয়ে দেখে আজ অনুভবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। 


সদ্যই এসেছে মডেল - অভিনেত্রী বিদিশা দের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যা থেকে জানা গিয়েছেস গলায় ফাঁস লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পর পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত হতে পারছেন যে এই মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা আত্মঘাতী হয়েছে। কেউ তাঁকে খুন করেছে কিনা, সে সংক্রান্ত তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এখন যে প্রশ্ন সামনে আসছে, তা হল, যদি বিদিশা আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে কেন তিনি এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিলেন। সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে জানা যাচ্ছে, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কী কারণে এই অবসাদ? সম্পর্কজনিত কোনও কারণে? নাকি কর্মক্ষেত্রের কারণে? নাকি কোনও অশান্তির জেরে? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 


আরও জানুন: 'Drugs on cruise' case Timeline : একাধিকবার জামিন খারিজ, শেষমেশ ক্লিনচিট আরিয়ানকে ; টাইমলাইনে কর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদক মামলা


 


প্রাথমিক তদন্তে যা জানা যাচ্ছে-


ইতিমধ্যেই বিদিশা দে মজুমদারের এক বন্ধু জানিয়েছেন যে, বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করতে চাইতেন বিদিশা। তার জন্য প্রশিক্ষণও নিতে শুরু করেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। তবে, এই মাসের শুরুতে দুটো ক্লাসে যাননি তিনি। ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়ে জানিয়ে দেন যে, তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে, সে কারণেই ক্লাসে যেতে পারছেন না তিনি। এরপর আর ক্লাসে যাননি বিদিশা। তাঁর দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একটি ফোন লক করা অবস্থায় রয়েছে। অন্য ফোনটি থেকে কিছু তথ্য় সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপি কালো করে দেন বিদিশা। গতকাল তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, বিদিশার মৃতদেহ যখন উদ্ধার হয়, তখন তাঁর কানে ব্লুটুথ হেডফোন ছিল। তদন্তকারীরা দেখছেন, মৃত্যুর আগের মুহূর্তে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন কিনা।