কলকাতা: জনপ্রিয় বিনোদন চ্যানেল 'কালার্স বাংলা'র (Colors Bangla) ধারাবাহিক 'তুমি যে আমার মা' (Tumi Je Amar Maa)। সম্প্রতি এই ধারাবাহিক পূর্ণ করল এক বছর (One Year Celebration)। শ্যুটিং সেটেই কেক কেটে হল সেলিব্রেশন। কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের গল্প?


'তুমি যে আমার মা' ধারাবাহিকের গল্পে নয়া মোড়


দেখতে দেখতে এক বছর পার করে ফেলল জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'তুমি যে আমার মা'। শ্যুটিং সেটেই হাজির হল কেক। টিমের খুদে সদস্যের হাতে কেক কেটে হল উদযাপন, চলল ফটোসেশন। 


ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে উত্তেজিত অনিকে শান্ত করার চেষ্টায় অরু। তাকে বারবার অরু এটাই বোঝাচ্ছে যে আরোহী কখনওই চাইত না যে ওরা দুঃখ পাক। অরুর বুদ্ধিমত্তা ও বোঝানোর ক্ষমতায় ধীরে ধীরে শান্ত হয় অনি। সে কথা দেয় যে অরু ও তাঁর ছোট ছেলে, দুজনেরই খেয়াল রাখবে অনি। অরু সিদ্ধান্ত নেয় যে আরোহীর শ্রাদ্ধশান্তির ব্যবস্থা করবে সে যাতে আরোহীর আত্মা শান্তি পায়।


অন্যদিকে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যে হাসপাতালে আরোহী ভর্তি হয়েছিল সেখান থেকে তার পরিবারের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে মল্লার। কিন্তু কোনও খোঁজই পায় না সে কারণ সব নথি, রেকর্ডই পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে হাসপাতালে প্রবল শ্বাসকষ্টের শিকার হয় আরোহী এবং আগুন থেকে নিজের মেয়েকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। আরোহীর আতঙ্ক প্রশমনের এক উপায় বের করে মল্লার। অরুর জন্য অন্তত যেন পরিবারের সকলে সাধারণ আচরণ করে, সেটা দেখার দায়িত্ব বিদিশাকে দেয় অনি। পরে রোমিতকে একজন নিরুদ্দেশ ব্যক্তির খোঁজ নিতে ফোন করে মল্লার। কিন্তু তার পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই ফোন কেটে দেয় রোমিত। কিছুদিন পর আরোহীর শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হয়, এবং পরিবারের লোকজন শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু করে। 


এর মাঝে, মল্লার আরোহীকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসে। রায়চৌধুরী বাড়িতে এদিকে আরোহীর শেষকৃত্য চলতে থাকে। অনির বাড়ির সামনে মল্লারের গাড়ি খারাপ হয়ে যায় এবং নিজের অবচেতনেই আরোহী বাড়ির বাগানে প্রবেশ করে। সে শুনতে পায় মায়ের জন্য অরু আবেগঘন গান ধরেছে। নার্সের কোলে ছোট্ট ছেলে বাগানে আসে। তাদের সঙ্গে আরোহীর দেখা হয়। অনি প্রায় আরোহীকে বাগানে দেখেই ফেলে কিন্তু কয়েক মুহূর্তের জন্য মিস হয়ে যায় তাদের সাক্ষাৎ কারণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরোহী চলে যায়। অনির বারবার আরোহীর কথা মনে পড়তে থাকে এবং সে আরও দুঃখিত হয়ে পড়ে। পরে অনি ও আরোহী একই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে যায়। তার সন্তানের পদবী জিজ্ঞেস করলে একপ্রকার বোবাই হয়ে যায় আরোহী, কথা হারিয়ে ফেলে সে। এই পরিস্থিতিতে প্রবেশ করে মল্লার এবং নিজের পদবী দেয় বাচ্চাটিকে। এর পরে অনি দেখতে পায় খানিক দূরে আরোহীকে কোলে সন্তান নিয়ে। সে ছুটে যায় তার দিকে কিন্তু গিয়ে দেখে সেটা অন্য কেউ। 


আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?


অন্যদিকে মল্লারের বাড়িতে তার মা সাদরে গ্রহণ করে আরোহীকে। কিন্তু শান্তি বেশিক্ষণ সঙ্গী হয় না আরোহীর। কারণ তাদের পরিচারিকা আরোহী ও তার বর সম্পর্কে একের পর এক প্রশ্ন করে জর্জরিত করতে থাকে তাকে। অবশ্যই সেই সমস্ত কিছু মনে করতে গিয়ে হাবুডুবু খায় আরোহী।


এরপর কী হয়, সেটাই দেখার।